প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৮:৩৯ পিএম
বরগুনার বামনা উপজেলা খাদ্য গুদাম ও কলাগাছিয়া ভূমিহীন আবাসন সংলগ্ন কলাগাছিয়া গ্রামের সংলগ্ন বিষখালী নদীর তীরবর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধের ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলা খাদ্য গুদাম সংলগ্ন বিষখালী নদীর তীরে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। পরে স্মারকলিপি দেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বামনা উপজেলার একমাত্র খাদ্য গুদামটি বিষখালী নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে ১২০০ থেকে ১৫০০ টন পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী মজুদ থাকে। নদী ভাঙনের কারণে এ গুদাম নদীগর্ভে বিলীন হলে সরকারের কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হবে এবং খাদ্য সংরক্ষণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে। খাদ্য গুদামের পাশে সরকারের নির্মিত ভূমিহীন আবাসন প্রকল্পে শতাধিক হিন্দু-মুসলিম পরিবার বসবাস করছে। ভাঙনের কারণে এসব পরিবার অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে। কলাগাছিয়া ও সংলগ্ন পূর্ব সফিপুর এলাকায় প্রায় ৭ হাজার ৩৬৫ জন মানুষ বসবাস করছেন। তাছাড়া বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, সদর আর রশিদ ফাজিল মাদ্রাসা, ১২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৈয়দ নাজমুল আহসান মাধ্যমিক ইনিস্টিটিউট, ২ নম্বর সদর ইউনিয়ন পরিষদ, ফেড়ীঘাট, লঞ্চঘাট ও উপজেলা পরিষদ বাঁধ ভাঙনের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বিষখালী নদীর প্রবল ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে দ্রুত বাঁধ রক্ষার কার্যক্রম গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয়দের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বামনা উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সৈয়দ মানজুরুর রব মুর্তাযা আহসান মামুন। তিনি বলেন, নদী ভাঙনের হুমকিতে এখন খাদ্য গুদাম, ভূমিহীন আবাসন এবং দুটি গ্রামের হাজারো মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
আজকালের খবর/আরইউ