প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:১৮ পিএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) আসন্ন হল সংসদ নির্বাচনে শহীদ সালাম-বরকত হল সংসদে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন সাইদুল ইসলাম। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শহীদ সালাম বরকত হলের সভাপতি।
ব্যালট নম্বর ০৩ নিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে তার ১৫ দফা ইশতেহার তুলে ধরেছেন। তার এই ইশতেহার মূলত হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার ও কল্যাণকে কেন্দ্র করে প্রণীত হয়েছে বলে তিনি জানান।
শিক্ষার্থীদের আবাসন ও নিরাপত্তা: সাইদুল তার ইশতেহারে আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে জোর দিয়েছেন। তিনি গণরুম ও গেস্টরুমের অপসংস্কৃতিমুক্ত একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে চান। পাশাপাশি, রাজনৈতিক বা ভিন্নমতের কারণে কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়াই সব শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হল জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণে 'জিরো টলারেন্স' নীতি গ্রহণের কথা বলেছেন এবং হলের সার্বিক নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা বৃদ্ধি ও যানবাহন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আবাসিক হল ও ডাইনিং ব্যবস্থাপনা : শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রা সহজ করতে তিনি বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন। খাবারের মান উন্নয়নেও তার বিশেষ নজর রয়েছে। তিনি ডাইনিং ও ক্যান্টিনে মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে নিয়মিত তদারকি করবেন। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার্থীবান্ধব মূল্য নির্ধারণ এবং খাবারের মান উন্নয়নে প্রশাসনের কাছ থেকে ভর্তুকি বাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন: সাইদুল তার ইশতেহারে শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি রিডিং রুমকে আরও উন্নত করা এবং কমনরুমে শব্দের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে চান। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বাড়াতে স্পোর্টস ও ডিবেটিং ক্লাব স্থাপন এবং নিয়মিত ক্রীড়া কার্যক্রম আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
ডিজিটাল ও অন্যান্য সেবা : আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে তিনি উচ্চগতির ওয়াইফাই সরবরাহ নিশ্চিত করবেন। এছাড়াও, হল অফিসের সেবা সহজ করতে অনলাইন সার্ভিস চালু ও অফলাইন সেবার মান উন্নয়নের কথা বলেছেন। তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি এবং অ্যালামনাই গঠন করে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা ও মেধাবৃত্তির ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সবশেষে, তিনি নবীনবরণ ও বিদায়ী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হল জীবনের সংস্কৃতি তুলে ধরার কথা বলেন।
এছাড়া আরও রয়েছে, বন্ধ থাকা লন্ড্রি সুবিধা পুনরায় চালু করা। স্থায়ী নাপিত ও মুচির ব্যবস্থা করা। প্রতিটি ব্লকে নিরাপদ পানির জন্য ফিল্টার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ। হঠাৎ অসুস্থতায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্ট এইড ব্যবস্থা করা। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মশা নিধন ও হলের আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখা।
আজকালের খবর/বিএস