প্রকাশ: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:৩৯ পিএম

রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক তৌফিক হাসান তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
ওই আবেদনে বলা হয়, আসামি শহীদ খান মামলার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছেন মর্মে জানা যায়। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।
মামলার তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
পরে পুলিশ প্রহরায় তাকে আদালতে নেওয়া হয়। এরপর তাকে কারাগারে আটক রাখতে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এর আগে রাজধানীর ইস্কাটন থেকে শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের লক্ষ্যে গত ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর মধ্যেই একদল ব্যক্তি হট্টগোল করে স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলের দরজা বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে লাঞ্ছিতও করেন। হট্টগোলকারীরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং আলোচনায় অংশ নেওয়াদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে অতিথিদের অনেককেই বের করে দেওয়া হলেও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে। এ ঘটনায় ২৯ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন উপপরিদর্শক আমিরুল ইসলাম। পরবর্তীতে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আজকালের খবর/বিএস