প্রকাশ: সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪:০৭ পিএম

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা আগের থেকে আরো উন্নতি হয়েছে। যেকোন দিন হাসপাতাল ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
সোমবার (৮সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে পরিচালকের কক্ষে এসব কথা বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
পরিচালক বলেন, আমরা তার মাথার ইনজুরি নিয়ে বেশি চিন্তায় ছিলাম। প্রথম সিটিস্ক্যানে রক্ত জমাট দেখা গেলেও তা ছিল সামান্য। পরে আর একটা সিটিস্ক্যান করে কোন রক্ত জমাট পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলছেন নুরুল হক নুরের মেমোরি লস হচ্ছে, তবে নিউরোসার্জারির চিকিৎসকরা বলেছেন, এরকম ইনজুরিতে মেমোরি লস হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তার এখন একটু জ্বর আসছে। আজকে দশদিন ধরে হাসপাতালে আছেন তিনি। এতদিন কোন জ্বর ছিল না। তবে এইটা ভাইরাল জ্বর হবে। অথবা আঘাতের কারণে জ্বর আসতে পারে। তবে উনার আগে থেকেই ঠাণ্ডাজনিত এলার্জি সমস্যা আছে। জ্বর সেরে গেলেই উনাকে ছুটি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন নুরুল হক নুরকে হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গেই আমিসহ কয়েকজন চিকিৎসক দ্বারা একটি বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়। উনার যেটা সমস্যা হচ্ছিল নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। সেখান থেকে রক্ত পরছিল। পরের দিন রক্ত পরা বন্ধ হয়েছিল। চোয়ালের হাড় ফ্যাকচার ছিল। ভাঙা হাড় জোড়া লাগতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে। চোখের রক্ত জমাট ছিল, সেটাও নেই। দৃষ্টিশক্তিতে কোন সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুইপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করে। এ সময় লাঠিচার্জে গণঅধিকার নেতা নুরুল হক নুর এবং দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত হওয়ায় নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
আজকালের খবর/বিএস