
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে নাটোরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের এক সঙ্গে প্রায় ১২ হাজার তৃণমূল নেতাকর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া তার পক্ষ থেকে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ৫৭জন দুস্থ্য ও অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ প্রতিজনকে ১০ হাজার করে মোট ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান এবং একজনকে ৪ বান্ডিল ঢেউটিন প্রদান করা হয়েছে। অপরদিকে, বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোপণসহ ১ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত নাটোর শহরতলীর দত্তপাড়া গ্রামে এই কর্মশালা, বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আবুল কাশেম। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুল হক ডিউক। অনুষ্ঠানে জেলার সদর, নলডাঙ্গা, গুরুদাসপুর, সিংড়া, বড়াইগ্রাম, লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার অন্তত ১২ হাজার কর্মী সমর্থক অংশ গ্রহণ করেন।
এ সময় তাদের হাতে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি পথে, ঘাটে, মাঠে, চায়ের দোকানে সাধারণ মানুষের মাঝে কিভাবে তারেক রহমানের ৩১ দফা তুলে ধরবেন তার ধারনা দেয়া হয় এ কর্মশালা থেকে। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আমরা বিএনপি পরিবার সংগঠনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আবুল কাশেম।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মহসিন উল হক, সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী, বিএনপি নেতা এনায়েত করিম, ভিপি শামিম হোসেন, বিএনপি নেত্রী মহুয়া নুর কচি প্রমুখ। এ সময় জেলা জাতীয়তাবাদি সাইবার দলের সাধারণ সম্পাদক গুলমেরাজ হ্যামলেট, যুবদল নেতা আব্দুল মালেক, ছাত্রদল নেতা মীর হাবিবসহ বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আবুল কাশেম বলেন, তারেক রহমান শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন নেতা নন; তিনি বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে তিনি সত্যিকারের জননেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি হলো সুষম উন্নয়ন, বৈষম্যহীন সমাজ এবং সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। দেশে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তারেক রহমানকে। তারেক রহমানের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশ চলছে এক গভীর রাজনৈতিক অভিভাবকহীনতায়, যেখানে নেতৃত্বহীনতার শূন্যতাই জাতীয় অস্থিরতার মূল কারণ। এটা বর্তমানেও চলমান। এই পরিস্থিতিতে তার নেতৃত্ব একান্তই প্রয়োজন। শুধু বিএনপি নয়, দেশের জনগণ তার প্রতীক্ষায় তিনি যেন তাদের আশা, স্বপ্ন এবং অধিকার ফিরিয়ে আনার একমাত্র আশ্রয়। আমরা আশা করি, তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতায় জনগণের মুখে হাসি ফোটাবেন। একটি গণতান্ত্রিক, সুশাসিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন আগামির রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান। তাই আমাদের সকল ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবেই তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
আজকালের খবর/ওআর