প্রকাশ: রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:৪৪ পিএম

কক্সবাজারের টেকনাফে মুরগির ফার্মে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয় রাঙ্গামাটি জেলার সুজন চাকমা নামের এক যুবক। এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনসহ হত্যায় জড়িত ৩ জন অপহরণ চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
অপহরণকারীরা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার ইসলামাবাদ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে ইয়াছিন ওরফে সাইফুল (৩২), একই এলাকার সৈয়দ করিমের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াছিন ওরফে কালু (১৮) ও নজির আহমেদের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৩১)।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে টেকনাফ সদরের ৪নং ওয়ার্ড নতুন পল্লান পাড়া এলাকায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাবের একটি বিশেষ অভিযানে এই অপহরণ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, রবিবার বিকেলে গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কামরুল হাসান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল এই অপহরণকারী চক্র। তারা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে টেকনাফে এনে নির্জন স্থানে আটকে নির্যাতন করত এবং মুক্তিপণ আদায় করত। এভাবে গত ২৯ আগস্ট সুজন চাকমা চাকরির আশায় রাঙামাটি থেকে টেকনাফে যান, পরদিন সকালে শাপলা চত্বর এলাকায় পৌঁছালে অপহরণকারীরা তাকে পাহাড়ি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ৩০ আগস্ট তার পরিবারের কাছে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় তাকে নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে ৩১ আগস্ট রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় টেকনাফ পৌর শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায় অপহরণকারীরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ সেপ্টেম্বর ভোরে মারা যান সুজন চাকমা।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে পরবর্তীতে র্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা করে টেকনাফ সদরের নতুন পল্লান পাড়া এলাকা থেকে অপহরণ চক্রের তিন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ সময় আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অপহরণে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার চাকু, লাঠি, লোহার রড, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।
আজকালের খবর/ওআর