চব্বিশের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ক্রেডিট ভাগাভাগি না করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তীতে যারাই ফ্যাসিস্ট হবে হাসিনার চেয়ে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। এখন এক থাকার সময়। জুলাই বিপ্লবের ক্রেডিট ভাগাভাগি না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
গতকাল রবিবার (২৪ আগস্ট) রাতে জুলাই বিপ্লব বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহিদদের স্মরণে ‘ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট’-এর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ‘জাগ্রত জুলাই’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. এয়াকুব আলী বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের ওপর এমন জুলুম নির্যাতন করেছিল, যার পরিণতি ৫ আগস্ট এক কাপড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলো। হাসিনার পালানো নিয়ে আমার আপত্তি নাই। কারণ, তার স্বামীর কাছেই পালিয়েছে। যেমনটা মেয়ে বিয়ে দিলে বাপের বাড়িতে আবদার রাখা যায় না। হতাশ হওয়ার কিছু নাই। বরং আনন্দিত।’
এসময় ব্যতিক্রম সাংস্কৃতিক সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহা. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ফ্যাসিস্ট বিদায় হলেও কালচারাল ফ্যাসিস্ট বিদায় হয়নি। ৫ আগস্টের পরবর্তীত যে দাবি তা সুন্দর একটা সমাজ বিনির্মাণ করা। আমরা আশা করছি তরুণদের নিয়ে সেই কালচারাল আগ্রাসন মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। একট রাষ্ট্রকে তিনটি ক্রাইটেরিয়া পূরণ করা দরকার অর্থনৈতিক শোষণ থেকে, সাংস্কৃতিক গোলামি থেকে এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন থেকে জাতিকে মুক্তি করা।’
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সসাসের উপদেষ্টা গোলাম জাকারিয়া ও সসাসের নির্বাহী পরিচালক এইচ এম আবু মুসা ও সাংস্কৃতিক সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহা. মাহমুদুল হাসান সহ দায়িত্বরত নেতৃবৃন্দ। এতে হামদ নাত, দ্রোহের গান, দেশের গান, জুলাইয়ের গান, প্যারোডি গান, ফোক গান, আবৃত্তি, ‘জমিদার বাড়ি’ নামক নাটিকা উপস্থাপন ও কাওয়ালী পরিবেশন করা হয়।
আজকালের খবর/ এমকে