প্রকাশ: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৮:০৩ পিএম

ভারতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় ও কার্যক্রম বন্ধের জন্য দিল্লিকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
বুধবার (২০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই অনুরোধ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিষিদ্ধ’ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের অফিস ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং কলকাতায় স্থাপনের খবরে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। ভারতের মাটিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশবিরোধী কার্যকলাপের পটভূমিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মানবতাবিরোধী গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ফৌজদারি মামলা হওয়ার কারণে দলের অনেক সিনিয়র নেতা পালিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছেন। এর আগে গত ২১ জুলাই সন্ধ্যায় একটি অখ্যাত এনজিওর আড়ালে নিষিদ্ধ দলটির কয়েকজন সিনিয়র নেতা দিল্লি প্রেস ক্লাবে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের পরিকল্পনা করেছিলেন। তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে পুস্তিকা বিতরণ করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন ভারতের মাটিতে থাকাকালে দলের ক্রমবর্ধমান কার্যক্রমের কথা নিশ্চিত করেছে।
সরকার মনে করে, ভারতের মাটিতে অবস্থান করে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো, নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতাকর্মীদের আইনত অবৈধভাবে অফিস স্থাপনসহ যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বাংলাদেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবমাননা। এ ঘটনা ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে পরিচালিত সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে ঝুঁকিও বহন করে এবং বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে গুরুতর প্রভাব ফেলে। এটি বাংলাদেশে জনসাধারণের অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে, যা দুই নিকটতম প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্ক আরো উন্নত করার জন্য উভয় দেশের চলমান প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে।
ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশবিরোধী কোনো কার্যক্রম যাতে কেউ চালাতে না পারে, বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশ অনুরোধ জানায়।
বিবৃতিতে এ ধরনের কার্যকলাপের অনুমতি ও সমর্থন না দেওয়া এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো অবিলম্বে বন্ধ করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।
আজকালের খবর/ওআর