টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব রয়েছে
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১৯ এএম
ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক এখনো বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন। যদিও টিউলিপ প্রকাশ্যে তা অস্বীকার করে আসছেন।

দুদকের কৌঁসুলি মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই এমপি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন এবং ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। তার ঠিকানা, একাধিক পাসপোর্ট এবং ভোটার তালিকায় নাম—সব প্রমাণ আমাদের হাতে আছে, যা সময়মতো আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সরকারের একাধিক সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে নিশ্চিত করেছে, যে তাদের কাছেও এসব নথির কপি রয়েছে। তবে সিদ্দিক এ দাবিকে রাজনৈতিক নিপীড়ন ও প্রহসন বলে আখ্যা দিয়েছেন। ২০১৭ সালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে কি বাংলাদেশি বলছেন? আমি ব্রিটিশ, আমি বাংলাদেশি নই।

টিউলিপ সিদ্দিকের আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউডের একজন মুখপাত্র এসব নথির অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন এবং সেগুলোকে জাল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, টিউলিপের কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি ছিল না এবং তিনি শিশু বয়স থেকে কোনো পাসপোর্ট নেননি।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, টিউলিপের নাগরিকত্বের প্রশ্নটি বাংলাদেশের আইনে তার বিচার হতে পারে কি না, সেটাকে প্রভাবিত করে না। তবে আদালতে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর কয়েক দিন আগে তার সততা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়াটা অস্বস্তিকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

খালা, মা ও দুই ভাই-বোনসহ টিউলিপের বিরুদ্ধে ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বেআইনিভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগ আনে দুর্নীতি দমন কমিশন। সংস্থাটির আইনজীবীরা দাবি করেন, প্লট পাওয়ার যোগ্যতার নিয়ম এড়াতে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক।

শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামল কর্তৃত্ববাদ, ভোট কারচুপি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে চিহ্নিত ছিল। গত বছর ছাত্রনেতৃত্বাধীন আন্দোলনে দেশজুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়লে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এর পর নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার পরিবার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি তদন্ত শুরু করে।

ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের অনুপস্থিতিতে তার বিচারকাজ চলছে। টিউলিপ বলেছেন, মামলার বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে গত সোমবার তিনি লিখেন, কোনো যোগাযোগ নেই। কোনো প্রমাণও দেওয়া হয়নি। এমনকি আমার আইনজীবীদের পক্ষ থেকে আইনসিদ্ধভাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলেও কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। এটি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নয়। এটা হয়রানি ও প্রহসন।

দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদ জানান, সিদ্দিকের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকায় থাকা ঠিকানায় সমন পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত দল সেখানে গিয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনও নিশ্চিত করেছে, সিদ্দিকের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, যদিও তা নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ নয়।

টিউলিপ কোনো ধরনের অনিয়ম করার কথা অস্বীকার করে আসছেন। শেখ হাসিনার ভাগনি বলছেন, অধ্যাপক ইউনূস সরকার ‘বিরোধীদের দমন’ করছে, তার শিকার তিনি।

সূত্র: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস

আজকালের খবর/ এমকে








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
শিক্ষক দম্পতি লাঞ্চিতের ঘটনায় উত্তাল দশমিনা
তারাগঞ্জে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৮ পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত
‘পুনর্বাসনের অপচষ্টো চলছে, তবে আওয়ামী লীগের ফেরার সুযোগ নেই’
ডাকাতি ঠেকাতে বানানো পুলিশ চেকপোস্টের টিন খুলে নিয়ে গেলো চোর
লুটের সাদা পাথর উদ্ধার করে আগের জায়গায় পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
ইবিতে ক্লাসে প্রবেশকে ঘিরে বাকবিতণ্ডা ও হট্টগোল
দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ২২ বাংলাদেশীকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
সচিবালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সাগরে লঘুচাপ, সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
জাতীয়করণ দাবিতে শিক্ষকদের প্রতিনিধিদল মন্ত্রণালয়ে
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft