বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবিতে শিক্ষকদের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গেছেন। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন, অধ্যক্ষ মাইনুদ্দীন আহমেদ, অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজি, মো. রফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মো. আবু তালেব সোহাগ, আবুল বাশার, শান্ত ইসলাম, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন, হাবিবুল্লাহ রাজু।
পুলিশের মধ্যস্থতায় বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা মন্ত্রণালয়ে যান। এর আগে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ শুরু হয়।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ মহাসমাবেশে যোগ দিতে দেশের ৬৪ জেলা থেকে এরই মধ্যে ঢাকায় এসেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতারা জানান, মহাসমাবেশ সফল করতে প্রতিটি বিভাগে ৮ জন করে শিক্ষককে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় সমন্বয়করা জেলা ও জেলার সমন্বয়করা উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয়ক মনোনীত করে দিয়েছেন। সমাবেশে শিক্ষকদের নির্বিঘ্নে আসা এবং বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে আগেভাগেই বাস রিজার্ভ করে রাখা হচ্ছে।
কোনো কোনো উপজেলা থেকে একাধিক বাস রিজার্ভ করে রাখা হচ্ছে। সমাবেশে আসা শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। তাদের অভিযোগ- বারবার আলোচনা, টেবিল কনফারেন্স, সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেও পূর্ববর্তী সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৪৪ দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি করার পরও দাবি উপেক্ষিত থাকে।
জাতীয়করণ, বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধিসহ সব দাবি-দাওয়া আদায়ে এবার তারা ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে অংশ নিতে দেশের ৬৪ জেলার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ঢাকায় আসছেন।
আজকালের খবর/ এমকে