প্রকাশ: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫, ২:৪৭ পিএম
বরগুনার বামনা উপজেলার রুহিতার চরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্প্রতি বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি, কালিকাবাড়ি ও বলইবুনিয়া এলাকার একটি প্রভাবশালী দুর্বৃত্ত চক্র জোরপূর্বক চরে ঢুকে কৃষকদের ফসল কেটে নেওয়ার পাশাপাশি নতুন ঘর নির্মাণের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বামনা উপজেলায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন সর্বস্তরের জনগণ।
বামনার রুহিতার চর এলাকার স্থায়ী ও অস্থায়ী ভূমি বন্দোবস্ত প্রাপ্ত কৃষকরা জানান, গত ৫ জুলাই দুর্বৃত্তরা প্রায় পাঁচ একর জমির উঠতি ফসল কেটে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে এবং মাছ ধরার প্রায় পাঁচ শতাধিক ফাঁদ লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া ১১ জুলাই খালের বাঁধ কেটে দেওয়ার মাধ্যমে ধানের বীজ নষ্ট করা হয় এবং ২৯ জুলাই ২৩ জন কৃষকের ১০৯টি মহিষ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। যার আর্থিক মূল্য প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা।
পরবর্তীতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় লুটকৃত মহিষ ফেরত আনা সম্ভব হয়। তবে চরের পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত। বেতাগীর ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় কৃষকরা নিজেদের জীবন ও সম্পদ নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
চাষিরা অভিযোগ করেন, চরের জমি দখল করে বেতাগীর কিছু লোক ইতোমধ্যেই নতুন টিন শেড ঘর তৈরি করেছে এবং আরো ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারি বরাদ্দপ্রাপ্ত খাস জমিতে খাল কেটে চরের সীমানা বিভাজনেরও অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
রুহিতার চরে গেলে বামনার কৃষকদের মারধর, অস্ত্র প্রদর্শন এবং হত্যার হুমকির মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে।
এরই প্রেক্ষিতে, বৃহস্পতিবার রুহিতার চর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ, চরের শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং চাষিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
চাষিদের দাবি, রুহিতার চর সম্পূর্ণরূপে বামনা উপজেলার ম্যাপভুক্ত এবং বেতাগী উপজেলার কোনো ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত নয়। সেহেতু চরের ওপর বেতাগী উপজেলার কোনো দাবির আইনি ভিত্তি নেই।
চরের শান্তি ও কৃষকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক এটিই এখন সকলের প্রত্যাশা।
আজকালের খবর/আরইউ