প্রকাশ: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫, ১১:০৩ এএম

নববধূর বিলাসবহুল জীবনযাপনের শখ মেটাতে গিয়ে নিজের জীবনের দিশা হারালেন এক শিক্ষিত তরুণ। ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে চুরি করা শুরু করেন তিনি। একসময় যে যুবকের স্বপ্ন ছিল একটি স্বচ্ছ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের, সেই যুবকই একদিন পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ছিনতাইয়ের অভিযোগে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে।
তরুণ পারেক নামের ওই যুবক রাজস্থানের জমওয়ারমগড় গ্রামের বাসিন্দা। বিবিএ ডিগ্রি নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। এক মাস আগে তার বিয়ে হয়। নতুন সংসার, নতুন জীবন—সবই ভালো চলছিল। তবে বিয়ের পরই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। স্ত্রীর চাহিদার পরিধি যখন দিনে দিনে বাড়তে থাকে, তখন ধীরে ধীরে ব্যয়ের ভার অসহনীয় হয়ে ওঠে পারেকের জন্য।
স্ত্রীর শখ-আহ্লাদ পূরণ করতে গিয়ে ক্রমেই দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। চাকরির আয় সেই চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হলে, এক পর্যায়ে ভুল পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন পারেক। শহর ছেড়ে পাড়ি জমান রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে। সেখান থেকেই শুরু হয় তার অপরাধজীবন।
সম্প্রতি জয়পুরের ট্রান্সপোর্ট নগর এলাকায় ঘটে যায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা। দিনে-দুপুরে এক নারীর গলা থেকে সোনার চেন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ শনাক্ত করে অভিযুক্তকে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তরুণ পারেক নিজের কৃতকর্ম স্বীকার করেন। পুলিশকে জানান, স্ত্রীর চাহিদা মেটাতে না পেরে বাধ্য হয়েই চুরির পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। তার এমন স্বীকারোক্তি হতবাক করেছে অনেককেই। প্রশ্ন উঠেছে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের আশায় পা রাখার পর কীভাবে একজন শিক্ষিত তরুণ এমন বিপরীত পথে গেলেন?
আজকালের খবর/বিএস