
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যে ৩৫ শতাংশ ‘পাল্টা’ শুল্ক আরোপ করেছে, সেই শুল্কের হার কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আলোচনা করতে আগামী ১ আগস্টের আগেই বাণিজ্য উপদেষ্টা প্রতিনিধিদল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করছি শুল্কটা কিছুটা কমে আসবে। কারণ আমাদের মূল্যস্ফীতি তো কম—৬.৫ বা ৭ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেড় লাখ টন সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইউরিয়া ও টিএসপিসহ বিভিন্ন রকম সার রয়েছে। এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছি।
তিনি বলেন, ২৫ লাখ টন গম আনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর যুক্তি হচ্ছে, আমরা একটু ডাইভার্সিফাই করতে চাচ্ছি। অনেক সময় রাশিয়ান ব্লক কিংবা ইউক্রেন ব্লকে একটা অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখন আমাদের আমদানি বাড়ানোর নেগোশিয়েশন চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গমের মান ভালো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম তুলনামূলক বেশি কি না—জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘দাম একটু বেশি হলেও আমরা অন্যদিক দিয়ে সুবিধা পাব। এই (যুক্তরাষ্ট্রের) গমের প্রোটিনও কিছুটা বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক প্রয়োগের আর মাত্র আটদিন বাকি। এর মধ্যে দর কষাকষির আলোচনার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী ১ আগস্টের আগেই বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
শুল্ক ইস্যুতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে লবিস্ট নিয়োগের দাবি জানানো হচ্ছে, একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এক্ষেত্রে লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গ নেই। কারণ, লম্বা সময় নিয়ে কোনো নেগোশিয়েশনের ক্ষেত্রে এ ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। এখানে যা করতে হবে কুইক করতে হবে। ওরা তো ঢুকতেই পারবে না, ওই অফিসের কাছাকাছি। নেগোশিয়েশন তো দূরের কথা।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ভালো ইমেজ আছে। সম্প্রতি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি, মেটলাইফের কতগুলো বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ইউএস চেম্বার আমাকে চিঠি লিখেছে।
আজকালের খবর/বিএস