৬ দফা দাবিতে রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে গোলচত্বরে জমায়েত হন শত শত শিক্ষার্থী। মুহূর্তেই মিছিল আর প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ।
‘বিচার চাই না, সন্তানের লাশ চাই’, ‘সঠিক লাশের হিসাব চাই’—এমন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরে সড়কের ওপর বসে পড়েন। এসময় পুলিশ একাধিকবার তাদের সরে যেতে বললেও শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কোনো সহিংসতা চাই না। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো—কেউ দায় নিচ্ছে না। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা এ অবিচারের বিচার চাই।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৬য় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— নিহতদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ, আহতদের নির্ভুল তালিকা, শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা, ক্ষতিপূরণ প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ প্লেন বাতিল, প্রশিক্ষণ পদ্ধতি সংস্কার।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিমান দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (মঙ্গলবার সকাল ৮টা) নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ জনে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৮ জন।
আজকালের খবর/ এমকে