প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৬ পিএম

২০২৪ সালের ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে দিনটিকে ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার প্রথম প্রতিরোধ দিবস-১১ জুলাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলাইমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, কুমিল্লা জেলা প্রশাসন মো. আমিরুল কায়ছার ও কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজির আহমেদ খাঁন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, এই যুদ্ধে আমাদের সন্তান আব্দুল কাইয়ুম প্রাণ দিয়েছে এবং আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের একটাই দাবি ১১ জুলাই যেন একটা স্বীকৃতি পায়। আমি উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, তিনি যেন শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে দেখেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, জুলাই আন্দোলনে আহত হওয়া কুবির ১১জন শিক্ষার্থী এখনো তাদের চিকিৎসায় ব্যয় হওয়া ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে, উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট আবেদন ১১জন আহতদের দিকে সুহৃদয় দৃষ্টি দিবেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী,কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা আন্দোলন দমানোর জন্য জড়িত ছিলেন আমরা তাদের ডাটা কালেকশন করছি। আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। আপনারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমাদের কমিটির কাছে জমা দিবেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরো বলেন, আজ সে দিন যে দিনের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার এবং সেই সহিংসতা শুরু হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সে দিন আমাদের শাহবাগে কর্মসূচিতে এসে শুনতে পায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হয়েছে। তখন আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল এবং আন্দোলনে বেশি সংখ্যক মানুষ যোগদান করেছিল। সে দিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্লকেড কর্মসূচি শুধু সফল করেছিলো। আমাদের আন্দোলনের একমাত্র কৃতিত্ব যায় যারা শহিদ হয়েছেন। আজকের এই দিনকে প্রথম প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করছি। আপনাদের প্রতিরোধের জন্য প্রশাসন যে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করবে সেটা সাধুবাদ জানায়। ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের যে স্থানে অবরোধ এবং বিজয় করেছিলেন সেখানে প্রতিরোধ মিনার স্থাপন করা হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস সংকট নিরসনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে তিনটি বাস উপহার দেওয়ার ঘোষণা করছি।
আজকালের খবর/বিএস