প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৪২ পিএম

গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ভোরে তীব্র কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় শীতের তীব্রতা দ্বিগুণ অনুভূত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দেশের ও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। তীব্র শীত আর গরম কাপড়ের অভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল, গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষরা। কাজে বের হতে পারছেন না তারা।
তবে অনেকেই টুপি, মাফলার ও চাদর মুড়ি দিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন। ভোরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। অনেকেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভিড় করছেন হাসপাতালগুলোতে। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, গোপালগঞ্জের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আজ সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ ছিল ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মূলত ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ না দেখা যাওয়া এবং উত্তরের মৃদু হিমেল হওয়ার কারণে এই শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী তিন দিনে এই তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান খোকন বলেন, এই সময়ে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। সে কারণে শিশুদের প্রতি আলাদা যত্ন নিতে হবে। কোনো ক্রমেই শিশুর যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে নজর দিতে হবে।
আজকালের খবর/বিএস