প্রকাশ: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:০৯ এএম

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচের গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনের মধ্যে একজন ভারতের দক্ষিণাঞ্চল থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ আরো জানিয়েছে, পরিবারের সঙ্গে ওই ব্যক্তির যোগাযোগ খুবই কম ছিল।
বন্দুক হামলাকারীদের একজন সাজিদ আকরাম (৫০) সিডনিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন। ভারতীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাজিদ ভারতের হায়দরাবাদ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন।
তবে ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর থেকে তিনি এ পর্যন্ত মাত্র ছয়বার ভারতে আসা-যাওয়া করেছেন। তার পরিবারের তার উগ্রবাদী চিন্তাধারা বা কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাজিদ এবং তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ ১৫ জনকে হত্যা ও আরো কয়েক ডজন মানুষকে আহত করার ঘটনার জন্য পুলিশের কাছে সন্দেহভাজন। সাজিদ আকরাম ভারতীয় পাসপোর্টধারী ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়ার তার সন্তানরা অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টধারী ও দেশটির নাগরিক।
তেলেঙ্গানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বিবিসি তেলেগু সার্ভিসকে বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের পর সাজিদ ছয়বার ভারত সফরে এসেছিলেন। প্রাথমিকভাবে সম্পত্তি সংক্রান্ত ও বয়স্ক বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার মতো পারিবারিক কারণ তিনি এসেছিলেন। তবে তিনি তার পিতার মৃত্যুর সময়েও আর ভারতে আসেননি।
সাজিদ আকরাম ও তার ছেলে কী কারণে উগ্রপন্থায় জড়িয়েছেন তার সঙ্গে ভারত কিংবা তেলেঙ্গানার স্থানীয় কোনো বিষয়ের যোগসূত্র নেই।’
পুলিশ এখন অনুসন্ধান করে দেখছে, কেন পিতা ও পুত্র বন্ডাই বিচে হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে ফিলিপাইন গিয়েছিলেন। দেশটির ইমিগ্রেশন ব্যুরো বিবিসিকে বলেছে, বাবা ও ছেলে পহেলা নভেম্বর সেখানে পৌঁছান এবং ২৮ নভেম্বর সেই দেশ ত্যাগ করেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্রমণে সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন। অন্যদিকে তার ছেলে ব্যবহার করেছেন অস্ট্রেলিয়ান পরিচিতি।
নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন বা এবিসি বলেছে, ‘সামরিক কায়দায় প্রশিক্ষণ’ নেওয়ার জন্য ওই দুইজন দ্বীপরাষ্ট্রটিতে গিয়েছিলেন। তবে এই রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করেননি কর্মকর্তারা। চরমপন্থী গোষ্ঠী আইএস ২০১৫ সালে প্যারিস হামলাসহ ইউরোপ ও আমেরিকাজুড়ে অনেকগুলো সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, নাভিদ আকরাম ‘অন্যদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার ভিত্তিতে ২০১৯ সালে প্রথম কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছিলেন। তবে সেই কোনো হুমকি বা সহিংসতায় তার জড়িত হওয়ার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। এদিকে গত রবিবারের ওই গুলির ঘটনায় নিহতদের প্রথম শেষকৃত্যানুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ওই ঘটনায় মোট ১৫ জন নিহত হয়েছে আর আহত ২১ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সূত্র : বিবিসি
আজকালের খবর/ এমকে