
তিন মাসের মাথায় ফের অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘চাঁদের আলো’খ্যাত সিনেমার বরেণ্য নির্মাতা শেখ নজরুল। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক কবিরুল ইসলাম রানা।
জানা গেছে, নিজ বাসায় গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে মাইল্ড স্ট্রোক করেন শেখ নজরুল। পরে তাকে কল্যাণপুর ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে শেখ নজরুলের শ্যালক পরিচালক সৈয়দ মোকলেছুর রহমান আজকালের খবরকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মাইল্ড স্ট্রোক করেন। পরে তাকে আমরা ইবনে সিনায় নিয়ে যাই। সেখানেই এখন তার চিকিৎসা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিকসহ বার্ধ্যকজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
আশানরূপ চিকিৎসা না পেলে তাকে আমরা স্থানান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন সৈয়দ মোকলেছুর রহমান।
দুই সন্তানের জনক শেখ নজরুল ছোট ছেলের কাছেই থাকেন। বড় ছেলে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
খান আতাউর রহমান ও জহির রায়হানের সঙ্গে সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে নাম লেখানো শেখ নজরুল পরবর্তীতে চাবুক(১৯৭৪), ‘নদের চাঁদ’ (১৯৭৯), ‘এতিম’ (১৯৮০), ‘নাগিন’, ‘মাসুম’ (১৯৮১), ‘ঈদ মোবারক’ (১৯৮২), ‘আশা’ (১৯৮৩), ‘পরিবর্তন’ (১৯৮৪), ‘নতুন পৃথিবী, ‘দিদার’ (১৯৮৭), ‘সালমা’ (১৯৮৮), ‘বউ শ্বাশুড়ী’, ‘কসম’ (১৯৮৯), ‘বিধাতা’, ‘স্ত্রীর পাওনা’ (১৯৯১), ‘চাঁদের আলো’ (১৯৯২), ‘চাঁদের হাসি’ (১৯৯৩), ‘চক্রান্ত’ (১৯৯৬), ‘সিংহ পুরুষ’ (১৯৯৮), ‘সব খতম’ (২০০৩), ‘দমন’ (২০০৫), ‘জোছনার প্রেম’ (২০০৬), ‘মা বড় না বউ বড়’ (২০০৯) প্রভৃতি।
ষাটের দশকে তিনি ‘সাত ভাই চম্পা’ ছবিতে অভিনয় করেন। লেট দেয়ার বি লাইট (অসমাপ্ত) ছবিতে জহির রায়হানের সহকারী হিসেবে কাজ করেন এবং এতে একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন।
নব্বই দশকের শুরুতে চাঁদের আলো সিনেমায় আনোয়ারার মেয়ে মুক্তিকে ব্রেক দেন। শেখ নজরুল নাটোরের কালিগঞ্জ থানার পিপরুল গ্রামে ১৯৩৫ সালের ৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম এ পাশ করে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন কাহিনীকার হিসেবে।
আজকালের খবর/আতে