
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় হামলার কথা ভাবছেন না। তবে এই বার্তাকে অক্টোবরের শুরুতে তার নিজের মন্তব্যের বিপরীত বলে মনে হচ্ছে। এছাড়া এখনও অঞ্চলটিতে এখনও মার্কিন সামরিক বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ এবং হাজার হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ, বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ভেনেজুয়েলার উপকূলের দিকে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এয়ার ফোর্স ওয়ানে ‘ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে হামলার কথা ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট- সংবাদমাধ্যমের এমন প্রতিবেদন সত্য কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প উত্তর বলেন, না।
মিয়ামি হেরাল্ডে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একই বার্তা দিয়েছেন। ওই নিবন্ধে বলা হয়েছিল যে মার্কিন বাহিনী ভেনেজুয়েলায় হামলার জন্য প্রস্তুত।
আল জাজিরা বলছে, শুক্রবার ট্রাম্পের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া অক্টোবরের শুরুতে অন্তত দুবার ভেনেজুয়েলা সম্পর্কে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন তার সাথে বিপরীত বলে মনে হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, তিনি অগত্যা যুদ্ধ ঘোষণার জন্য অনুরোধ করবেন না। সে সময় তিনি বলেন, আমি মনে করি আমরা কেবল সেইসব লোকদের হত্যা করব যারা আমাদের দেশে মাদক নিয়ে আসছে। ঠিক আছে? আমরা তাদের হত্যা করব।
মার্কিন সেনাবাহিনী সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবিয়ান এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে জাহাজগুলোতে ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৬২ জন নিহত হয় এবং ১৪টি নৌকা এবং একটি আধা-সাবমার্সিবল ধ্বংস হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে যে আক্রমণগুলো কথিত মাদক চোরাচালানকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে, কিন্তু এখনও তাদের দাবির প্রমাণ হিসাবে জনসাধারণের কাছে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক এই হামলাকে “অগ্রহণযোগ্য” বলে নিন্দা জানান। টার্ক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এই ধরনের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে এবং এই নৌকাগুলোতে থাকা মানুষের বিচারবহির্ভূত হত্যা রোধে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, এমনকি তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক আচরণের অভিযোগ থাকলেও।
আজকালের খবর/বিএস