
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে ক্যাবিনেট ক্লোজড হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে নিজের মন্ত্রণালয়ের সংস্কার বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
মাহফুজ আলম বলেন, এগুলো খুব বড় কিছু, এ রকম নয়। কিন্তু আমাদের সময়সীমা আগে ছিল ৩ মাস, এখন আছে এক মাস। কারণ এই জিনিসগুলো ক্যাবিনেটেই করতে হবে অথবা নীতিমালা প্রণয়ন করে করতে হবে। যেগুলো নভেম্বরে পরে আর করতে পারব না।
তিনি বলেন, নভেম্বরে ক্যাবিনেট মিটিং ক্লোজড হয়ে যাবে। এরপরে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। আইন প্রণয়নের যেই জায়গাগুলো আছে সেগুলো আগামী মাসের মধ্যে সমাধান করতে চাই। আর যেগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার মাধ্যমে করা সম্ভব, সেগুলো করে ফেলব।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করে দেওয়া হবে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি যেন বেতন হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ওটিটি-ইউটিউব নিয়ে তিনি বলেন, কনটেন্ট নির্মাণ করলে সেটা তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায়। আর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পাবলিশড করলে সেটা আইসিটি বিভাগের চলে যাবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যে কনটেন্ট আসে, সেগুলোকে রেগুলেট করার চেষ্টা করছি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, যেটা করে যেতে পারলে সবচেয়ে ভালো হতো সেটা হচ্ছে ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া। এইটা আমরা করতে পারি না। এটা করার জন্য অনেক দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। কারণ এটার সঙ্গে অনেক কিছু ইনভল্ভ, মালিকানা থেকে শুরু করে আরও বিষয়গুলো ইনভল্ভ আছে।
মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেসসচিব ফয়েজ আহম্মদ, ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।
আজকালের খবর/বিএস