সিলেটের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত নাম মিফতাহ্ সিদ্দিকী। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তিনি শুধু সিলেট ৪ আসনে নয়, বরং পুরো সিলেট বিভাগের নেতাকর্মীদের কাছে আস্থার প্রতীক। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এখন সিলেট-৪ আসন (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) থেকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-৪ আসনে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভরসার প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের সর্বাধিক সমর্থন পাচ্ছেন মিফতাহ্ সিদ্দিকী। মামলা-হামলা, নির্যাতন ও দমননীতির মুখে থেকেও তিনি নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেছেন। সেই ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে শুরু করে আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সাহসী নেতৃত্ব তাকে জনমানসে ভরসার প্রতীকে পরিণত করেছে।
জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, দলীয় সংকটে মিফতাহ্ সিদ্দিকী বারবার আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই তৃণমূল এখন তাকেই প্রার্থী হিসেবে চায়।
জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ-এ তিন উপজেলা খনিজ সম্পদ ও পর্যটনের সম্ভাবনায় সমৃদ্ধ। কোম্পানীগঞ্জের পাথর, গোয়াইনঘাটের জাফলং, নদীপথ ও জৈন্তাপুরের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। সেই ক্ষেত্রে এই এলাকায় একজন দক্ষ, ডায়নামিক ও কর্মট সংসদ সদস্য প্রয়োজন। আর সে ক্ষেত্রে বিএনপির নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে মিফতাহ্ সিদ্দিকীর নাম।
জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার কারণে মিফতাহ্ সিদ্দিকী সিলেট-৪ আসনে এক আস্থার নাম। বন্যা-দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণ, দরিদ্রদের চিকিৎসা সহায়তা, সামাজিক সমস্যা সমাধান—সব ক্ষেত্রেই তার সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে।
গোয়াইনঘাটের এক প্রবীণ ভোটারের মতে, তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি আমাদের অভিভাবকের মতো। তাই তার প্রার্থিতা মানেই মানুষের আশা পূরণের প্রতিশ্রুতি।
বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে মিফতাহ্ সিদ্দিকীর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। তিনি যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে অনুপ্রাণিত করেন। এজন্যই তরুণ সমাজ তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব মনে করে।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, সিলেট-৪ আসনে যদি মিফতাহ্ সিদ্দিকীকে প্রার্থী করা হয় তবে এ আসনে বিজয় নিশ্চিত হবে। জনপ্রিয়তা, যোগ্যতা ও নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে তিনি বর্তমানে সিলেটের রাজনীতির অন্যতম শক্তিশালী প্রার্থী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সিলেটের রাজনৈতিক ইতিহাসে মিফতাহ্ সিদ্দিকী ইতোমধ্যেই এক আইকন হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। তার নেতৃত্ব, সংগ্রাম ও জনসম্পৃক্ততা প্রমাণ করছে আদর্শ ও জনগণের ভালোবাসা থাকলে দীর্ঘ লড়াইয়েও জয় সম্ভব।
দীর্ঘ দিন থেকে এই তিন উপজেলার মানুষেদের বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে প্রান্তিক জনপদে ছুটে চলা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, আল্লাহ তায়ালা নিজ গুনে এই তিন উপজেলায় প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন। আধুনিকায়ন ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে। কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও যুব উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করব। দল, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাকে যখন যেখানে যে দায়িত্ব দেয়া হবে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে আমি তা পালন করব ইনশাআল্লাহ।
আজকালের খবর/ এমকে