প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৫ পিএম

ব্যবসায়ী ধনকুবের অনুতিন চার্নভিরাকুলকে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। গত সপ্তাহে আদালতের রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা পদচ্যুত হওয়ার পর শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই পরিবর্তন এলো। এ নিয়ে দুই বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো নতুন প্রধানমন্ত্রী পেলো দেশটি।
অনুতিনের ভুমজাইথাই পার্টি সিনাওয়াত্রাদের দল ফিউ থাই নেতৃত্বাধীন জোট থেকে সরে এসে সংসদে পর্যাপ্ত সমর্থন জোগাড় করতে সক্ষম হয়। তবে দেশটির রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আদালতের রায় ও সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একের পর এক সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।
বলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় আঘাত। ২০০১ সালে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই পরিবারটি থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে আধিপত্য ধরে রেখেছিল। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে থাকসিনকে বহনকারী ব্যক্তিগত বিমান থাইল্যান্ড ছাড়লে দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকসিন জানান, চিকিৎসার জন্য তিনি দুবাই গেছেন। তবে ৯ সেপ্টেম্বর আদালতের শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য দেশে ফিরবেন। ওই মামলায় তার আবারও কারাগারে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
অতীতে সিনাওয়াত্রাদের জনমুখী নীতি নিম্নআয়ের থাই জনগণের বিপুল সমর্থন পেলেও তা ব্যাংককের রক্ষণশীল রাজতন্ত্রী অভিজাতদের সঙ্গে সংঘাত বাড়ায়। থাকসিন ও তার বোন ইংলাক, দুজনই প্রধানমন্ত্রী হলেও ২০০৬ ও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান।
পেতংতার্ন প্রধানমন্ত্রী হওয়াকে অনেকেই সিনাওয়াত্রাদের প্রত্যাবর্তন হিসেবে দেখছিলেন। তবে তার অপসারণ প্রমাণ করেছে, পরিবারটি আবারও রক্ষণশীল-রাজতন্ত্রী অভিজাতদের আস্থা হারিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি।
আজকালের খবর/ওআর