কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি সদস্যদের দেখে কয়েক রাউন্ড গুলি করে মিয়ানমারে পালিয়ে যায় অনুপ্রবেশকারী চোরাকারবারিরা। এ সময় তাদের লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের খরের দ্বীপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার অস্ত্র ও গুলি মধ্যে রয়েছে: জি-৩ রাইফেল দুটি, এমএ-১ (ভ্যারিয়েন্ট এমকে২) একটি, এলএম-১৬১টি ও আটটি ম্যাগাজিনসহ মোট ৫০৭ রাউন্ড গুলি।
উখিয়াস্থ-৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘টেকনাফের খরের দ্বীপ এলাকায় নদী পথে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় সন্দেহজনক কিছু ব্যক্তির উপস্থিতি টের পায় বিজিবি। কিন্তু বিজিবি সদস্যদের দেখা মাত্র সন্দেহজনক ব্যক্তিরা কয়েক রাউন্ড গুলি করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নৌকায় পালিয়ে যান। পরে খরের দ্বীপ এলাকায় তল্লাশি করে লুকানো অবস্থায় জি-৩ রাইফেল দুটি, এমএ-১ (ভ্যারিয়েন্ট এমকে২) একটি, এলএম-১৬১টি ও আটটি ম্যাগাজিনসহ মোট ৫০৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা ও জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। চোরাচালান, মাদক কিংবা অবৈধ অস্ত্র-কোনো কিছুই সীমান্তে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী চোরাকারবারি অথবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাধ্যমে আনা হয়েছে।
ধারণা করা হয়, এগুলো যে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান অথবা নাশকতার উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছিল। গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করে অস্ত্রের উৎস ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে।
এ দিকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি টেকনাফ মডেল থানায় আলামত হিসেবে জমা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান ওই বিজিবি অধিনায়ক।
আজকালের খবর/ এমকে