বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নসহ তিন দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ চলাকালে নৌ-বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ‘হাতাহাতির’ ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা নৌবাহিনীর তিনটি গাড়ি আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে যায়।
পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিষয়টি মীমাংসার পর নৌবাহিনীর সদস্যরা গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌফিক আলম জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নসহ তিন দাবিতে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অংশ হিসেবে বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় নৌবাহিনীর তিনটি গাড়ি উল্টো পথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। এ নিয়ে নৌবাহিনীর সদস্য ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
তখন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নৌবাহিনীর তিনটি গাড়ি আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম না। তবে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিল। বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।”
নৌবাহিনীর সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার বলে দাবি করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূত্বত্ত ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব মিয়া বলেন, “আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ করছিলাম। তখন নৌবাহিনীর তিনটি গাড়ি উল্টো পথে এসে জরুরি পথও আটকে দেয়।
“বাধা দিলে তারা আমার শরীরে হাত তোলেন এবং গলা চেপে ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান। তখন শিক্ষার্থীরা এসে আমাকে সেইভ করেন।”
নৌবাহিনীর লিডিং সি-ম্যান মো. বাচ্চু সাংবাদিকদের বলেন, “অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা সবসময় আপনাদের সাহায্যের জন্য আছি।”
উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, “শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নৌবাহিনীর গাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা হয়েছে।”
আজকালের খবর/ এমকে