জুলাই আন্দোলন এবং সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে এখনো সাত শতাধিক পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন।
তিনি বলেছেন, পলাতকদের মধ্যে জঙ্গি আছে অর্ধশতাধিক।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কারা অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য দিয়েছেন।
মোতাহার হোসেন বলেন, “প্রায় ২২শ পালিয়ে গিয়েছিল, এখনো ৬৫ জঙ্গি সহ সাতশতের অধিক পলাতক আছে। এসবের মধ্যে যাবজ্জীবন এখন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছেন।”
কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে এখনো ২৯টি এখনো উদ্ধার হয়নি বলেও জানিয়েছেন মহাপরিদর্শক।
তিনি বলেন, "কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার এবং পলাতকদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।”
কারাগারে প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় নিমানুযায়ী ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, "কারাগারে বন্দীকে হত্যার অভিযোগ থাকতে পারে তবে গত এক বছরে কারাগারে কোনো হত্যার ঘটনা ঘটেনি।"ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের অগাস্টে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। সে সময় সারাদেশে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি প্রায় সরকার পতনের পরদিন একযোগে অনেকগুলো কারাগারে বন্দিদের ‘বিদ্রোহ’, হামলা ও পালানোর ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, সাতক্ষীরা, শেরপুর, কুষ্টিয়া ও নরসিংদী কারাগার থেকে দুই হাজারের বেশি বন্দি পালিয়ে যান।
পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামি ছাড়াও বিভিন্ন নিষিদ্ধ ‘জঙ্গি’ সংগঠনের আসামিরাও ছিলেন। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার ও নিজ ইচ্ছায় অনেকে ফিরে এলেও বড় একটা অংশ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আজকালের খবর/ এমকে