নতুন সমীকরণে ভারত চীন রাশিয়া সম্পর্ক
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম
নতুন ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় ভারত, চীন ও রাশিয়ার মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক এক নতুন সমীকরণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাস, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ এবং রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক এই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি সাম্যাবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত শুল্কনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির প্রেক্ষাপটে ভারত তার কৌশলগত অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন করছে। এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত ও চীনের শীর্ষ পর্যায়ের ধারাবাহিক বৈঠক, সীমান্ত চিহ্নিতকরণ ও সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর উদ্যোগ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গতি আনছে। একইসঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে অপরিশোধিত তেল আমদানি অব্যাহত রাখা ও মার্কিন চাপের বিরুদ্ধে মস্কোর প্রকাশ্য সমর্থন, নয়াদিল্লির জন্য এক নতুন কৌশলগত ভারসাম্যের সুযোগ তৈরি করছে। 

ভারত, চীন ও রাশিয়ার এই কূটনৈতিক গতিপ্রকৃতি শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, বরং বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

ভারত-চীন সম্পর্কের ধারাবাহিক অগ্রগতি নিয়ে আশাবাদী মোদি

দীর্ঘদিনের উত্তেজনার পর ভারত ও চীনের সম্পর্ক ‘ক্রমাগত উন্নতির দিকে’ থাকায় সাধুবাদ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। গত মঙ্গলবার চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি এমন আশা প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে বদলে যাওয়া বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে এশিয়ার এ দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের সম্পর্ক নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে। 

দিল্লিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন মোদি। সেখানে ভারত ও চীনের মধ্যকার পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও সংবেদনশীল বিষয়ে সম্মান প্রদর্শনের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

আর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দুই দেশ এখন ‘স্থিতিশীল উন্নয়নের পথে’ প্রবেশ করেছে এবং তাদের একে অপরের প্রতি ‘বিশ্বাস ও সমর্থন’ থাকা উচিত।

ওয়াং গত সোমবার ভারতে পৌঁছান। তিনি সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও বৈঠক করেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ওয়াংয়ের সঙ্গে দোভালের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার ‘উত্তেজনা কমানো, সীমারেখা নির্ধারণ এবং সীমান্তসংক্রান্ত বিষয়’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

২০২০ সালে আন্তসীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ওই সংঘাতে ২০ ভারতীয় সেনা ও চার চীনা সেনা নিহত হন। সংঘাত কেন্দ্র করে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক যোগাযোগ স্থগিত হয়ে যায়।

সোমবার ওয়াং বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা যে সমস্যাগুলো দেখেছি, তা আমাদের দুই দেশের মানুষের স্বার্থে ছিল না। সীমান্তে যে স্থিতিশীলতা এখন ফিরে এসেছে, তা দেখে আমরা আনন্দিত।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মোদি। সীমান্ত প্রশ্নে ‘ন্যায্য, যুক্তিসংগত ও পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান’ নিশ্চিত করতে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা আবারো উল্লেখ করেছেন তিনি।

ভারত ও চীনের মধ্যে এমন সময়ে সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে, যখন কিনা নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্য আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করার পর নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে এ তিক্ততা দেখা দেয়। ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্প এ শুল্ক ঘোষণা করেন।

ভারত দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন মিত্র হিসেবে বিবেচিত। এশিয়ায় চীনের প্রভাবের বিরুদ্ধে ভারসাম্য রক্ষায় ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত কোয়াড নিরাপত্তা জোটেরও অংশ; যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানও রয়েছে।

২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক শীতল হয়ে যায়। দুই পক্ষই সীমান্ত এলাকায় বিপুল সেনা মোতায়েন করে। দুই দেশের বাণিজ্য, কূটনীতি ও উড়োজাহাজ চলাচলের ওপর এর প্রভাব পড়ে।

গত বছর সীমান্তে টহল এবং কিছু সীমান্ত এলাকা থেকে অতিরিক্ত সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। দুই দেশই সড়ক ও রেল নেটওয়ার্ক বানিয়ে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ের সফর বেড়েছে। এসব বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্যবিষয়ক কিছু বিধিনিষেধ শিথিল, নাগরিকদের চলাচল ও ব্যবসায়ীদের ভিসা সহজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

গত জুনে বেইজিং ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের তিব্বতের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানগুলো পরিদর্শনের অনুমতি দেয়। দুই দেশ আবারো সরাসরি ফ্লাইট চালুর চেষ্টা করছে।

গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত ও চীন তাদের ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটারের দীর্ঘ সীমান্তে তিনটি পয়েন্ট দিয়ে আবারো বাণিজ্য শুরু করার বিষয়ে আলোচনা করছে।

নয়াদিল্লিভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ফেলো মনোজ যোশী বলেন, দুই দেশের সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে হলে সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন।

চীন-ভারত সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত: চীন-ভারত সীমান্তে ২০২০ সালে সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পর্ক পুনর্গঠনে উদ্যোগ নিচ্ছে দেশদুটো। মঙ্গলবার দু দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সম্মতিতে দুদেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালু এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে প্রবাহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়, দুদেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু এবং ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য প্রবাহ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে দুদেশের সীমান্তবর্তী তিনটি স্থানে সীমান্ত-বাণিজ্য পুনরায় চালু করা হবে।

আলোচনায় হিমালয় সীমান্তে সেনা প্রত্যাহার, সীমান্ত চিহ্নিতকরণের মতো বিষয়ও উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ভারত। ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় দুদেশের মধ্যে স্থগিত হওয়া সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা এতদিনে পুনর্বহাল হতে চলেছে। তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্তবিষয়ক একটি যৌথ কার্যকরী কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছেন দুদেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এই প্রক্রিয়ায় সীমান্তের পূর্ব ও মধ্যাঞ্চল নিয়ে আলোচনা হবে এবং পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে দ্রুত আরেক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পক্ষ ২০২৬ সালে আবার চীনে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত পররাষ্ট্রনীতির চমক সামলাতে সুকৌশলে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক দৃঢ়করণে মনোযোগ দিয়েছে এশিয়ার দুই বৃহৎ শক্তি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনে সম্প্রতি দুদিনের দিল্লি সফরে গিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। চলমান এই আলোচনার ২৪তম দফায় ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে।

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলাপে ওয়াং ই বলেছেন, দুদেশের জনস্বার্থে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্থিতিশীলতা জরুরি। আলোচনা ও সহযোগিতার পরিসর বৃদ্ধির মাধ্যমে আস্থা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আলোচনায় তিব্বতের ইয়ালুং জ্যাংবো নদীতে চীনের মেগা ড্যাম প্রজেক্ট (বৃহৎ বাঁধ প্রকল্প) নিয়ে ভারতের উদ্বেগও তুলে ধরা হয়। এই নদীই ভারত ও বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত হয়েছে। বাঁধের প্রভাব নিয়ে ভারতের ‘সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার’ দাবির জবাবে জরুরি পরিস্থিতিতে নদীর হাইড্রোলজিক তথ্য সরবরাহে সম্মত হয়েছে চীন। এছাড়া দুই দেশ বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে সীমান্তবর্তী নদী নিয়ে পৃথক আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পাশাপাশি ভারতের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাতÑ সার, বিরল খনিজ এবং টানেল বোরিং মেশিন সরবরাহে সহযোগিতার আশ্বাস চীন দিয়েছে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ভারত ও চীনের মধ্যকার স্থিতিশীল, প্রত্যাশিত ও গঠনমূলক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চলতি মাসের শেষে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও) সম্মেলনে অংশ নিতে চীন সফর করবেন মোদি। সাত বছরের বেশি সময় পর চীন সফর করছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

ভারত মস্কোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, জানাল রাশিয়া: ভারত মস্কোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির মধ্যে ভারতকে নিয়ে এমন মন্তব্য করল মস্কো। ভারতে বিশেষ ব্যবস্থায় তেল রপ্তানি অব্যাহত রাখার কথাও জানায় দেশটি।

আজ বুধবার ভারতে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাসের কর্মকর্তা রোমান বাবুশকিন এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার তেল ক্রয়ের জন্য ভারতের উপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, মার্কিন চাপ অযৌক্তিক এবং একতরফা। ভারত রাশিয়ার তেল ক্রয় বন্ধ করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রোমান বাবুশকিন বলেন, ‘আমরা এমনটা আশা করি না।’

এই দূতাবাস কর্মকর্তা আরো বলেন, যদি পশ্চিমারা আপনার সমালোচনা করে, তার মানে আপনি সবকিছু ঠিকঠাক করছেন।

এদিকে, রাশিয়ান দূতাবাসের চার্জ ডি’ অ্যাফেয়ার্স বাবুশকিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনীতিকে অস্ত্রে পরিণত করেছে। বন্ধুরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে না, রাশিয়া কখনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না। ভারত এবং রাশিয়া সবসময় কঠিন সময়ে সহযোগিতার উপায় খুঁজে বের করেছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ভারতে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য রাশিয়ার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে রোমান বাবুশকিন বলেন, যদি ভারতীয় পণ্য মার্কিন বাজারে প্রবেশে অসুবিধার সম্মুখীন হয়, তাহলে রাশিয়ার বাজার ভারতীয় রপ্তানিকে স্বাগত জানাচ্ছে।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের ভারত সফরকে অত্যন্ত সফল অভিহিত করে রাশিয়া একে স্বাগত জানায় বলেও মন্তব্য করেন এই দূতাবাস কর্মকর্তা। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশংসা করে, তিনি ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুটি ফোন কলের কথা উল্লেখ করেন।

৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথন করেন, এই সময় দুই নেতা ইউক্রেনের চলমান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। ১৮ আগস্ট আরেকটি ফোনকলে কথা বলেন পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

আজকালের খবর/ওআর








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
সোনালী ও জনতা ব্যাংকের অফিসার পদের ফল প্রকাশ
এনবিআরে বড় ধরনের রদবদল, ৫৮ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসিতে নতুন ৩ সদস্য নিয়োগ
নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই : আসিফ মাহমুদ
সাদাপাথর লুটপাটে ১৩৭ জন জড়িত: তদন্ত প্রতিবেদন
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
ডিমলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
হিট প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা ইউজিসির
বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজে থাকছে নারী আম্পায়ার
উখিয়া থানার সামনে শিক্ষক ও বিক্ষুব্ধ জনতা অবস্থান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
অদ্ভুত এক ঘটনা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঘটতে যাচ্ছে: মেজর হাফিজ
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft