প্রকাশ: সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ৭:০১ পিএম

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলনের সময় দাপ্তরিক কাজে বাধা দেওয়ায় আরও চার কর কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) এক আদেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়। এই বরখাস্তের আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু; খুলনার মোংলার কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার আবুল আলা মোহাম্মদ আমীমুল ইহসান খান; চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির যুগ্ম কমিশনার সানোয়ারুল কবির এবং খুলনার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম।
আইআরডি সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান চার কর্মকর্তার বরখাস্তের পৃথক চারটি আদেশে সই করেন।
বরখাস্তের কারণ হিসেবে চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১২ মে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারির পর এর বিরোধিতা করে এনবিআর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট এবং আয়কর বিভাগের কর্মচারীদের কর্মসূচির সময় তারা দায়িত্বরত কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজ সম্পাদনে বাধা দেন। এর পাশাপাশি, কাজ ত্যাগ করে রাজস্ব ভবনে আসতে বাধ্য করার মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। এই কারণে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮–এর ধারা-৩৯ (১) অনুযায়ী, এই চার কর্মকর্তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) নিয়োগ করে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তারা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
উল্লেখ্য, গত মে ও জুন মাসে রাজস্ব খাতে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করেন। ২৮ ও ২৯ জুন তারা দেশব্যাপী কাজ বন্ধ রেখেছিলেন, যা পরে ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় প্রত্যাহার করা হয়। আন্দোলনের পর থেকেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। এ পর্যন্ত তিনজন সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে, এবং চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তৎকালীন কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়াও দুদক এনবিআরের ২ সদস্যসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে, যাদের অধিকাংশই আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
আজকালের খবর/ওআর