যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ব্রাজিলের কিছু পণ্যের ওপর বুধবার (৬ আগস্ট) থেকে কার্যকর হয়েছে। ৩০ জুলাই এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নেয়, যা এখন বাস্তবায়ন করা হলো।
ওই নির্বাহী আদেশে হোয়াইট হাউস জানায়, ব্রাজিল সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দমন-পীড়ন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানিতে লিপ্ত এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো ও তার হাজার হাজার সমর্থকের বিরুদ্ধে নেওয়া বিচারিক পদক্ষেপ মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ ধরনের কার্যকলাপ ব্রাজিলে আইনের শাসনকে দুর্বল করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি ট্রাম্পের শুল্ক আরোপকে ‘অগ্রহণযোগ্য ব্ল্যাকমেল’ বলে উল্লেখ করে জানান, পশ্চিমা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে ব্রাজিলের এই চাপ সামাল দেওয়ার সক্ষমতা বেশি।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাজিলের রপ্তানির পরিমাণ মাত্র ১২ শতাংশ, যেখানে চীনে তারা প্রায় ২৮ শতাংশ পণ্য রপ্তানি করে। ফলে, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কের চাপ ব্রাজিলের জন্য তুলনামূলকভাবে কম প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
তবে লুলা স্পষ্ট করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্রাজিল বাণিজ্যচুক্তিতে আগ্রহী। তবে বলসোনারো নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যকে তিনি অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে সোমবার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারক। তাঁর বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিচার চলছে, যা দেশটির বিচারব্যবস্থা ও ডানপন্থী রাজনীতির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী ফার্নান্দো হাদাদ জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন। আলোচনায় ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির বিষয়ে সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। হাদাদ বলেন, 'বুধবার আমাদের প্রথম আলোচনা হবে। যদি অগ্রগতি হয়, তবে সরাসরি বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে।'
সূত্র: রয়টার্স
আজকালের খবর/ এমকে