প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৫:১৯ পিএম

গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রেখেছে তিতাস গ্যাস। এই নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার (১৬ জুলাই) জ্বালানি খনিজ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুর রহমানের নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসির সাভার ও আশুলিয়ার আওতাধীন ইউসুফ মার্কেট (জেনারেশন নেক্সট সংলগ্ন), রংপুর মার্কেট (সিগমা ফ্যাশন সংলগ্ন), ধনাইদ মাল্টি মডার্ন রোডের ৩টি স্পটে অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে ১.৫ কি.মি. অবৈধ বিতরণ লাইনের আনুমানিক ৬০০টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের আনুমানিক ৪০০ মিটার লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এতে মাসিক ১৫,৪১,৩৪০ টাকার গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
একই দিনে, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসির নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকার আওতাধীন কলাবাড়ী, দেওয়ানবাগ, মালিবাগ (ক্যাসেল রিসোর্ট এর পাশে) ২টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে ১টি চুন ফ্যাক্টরি ও আনুমানিক ৩০০ চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ২" পানির হোস পাইপ প্রায় ২০০ফুট, বিভিন্ন ব্যাসের লাইন পাইপ ৮০ফুট, বার্নার ৪টি ও বেলচা ৩টি অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এ সময় চুন কারখানা মালিককে স্পটে না পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মৌখিক নির্দেশনার প্রেক্ষিতে চুন ফ্যাক্টরির মালিক ও জায়গার মালিকের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক লিগ্যাল বিভাগ-নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক থানায় FIR এর উদ্দেশ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অবৈধ চুন কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় চুন ভিজিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। অবৈধ বিতরণ লাইনের সংযোগ উৎস নষ্ট করে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, টাঙ্গাইল জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজের নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসির চন্দ্রা এলাকার আওতাধীন গ্রীন সিটি রোড, বালুর মাঠ, গোড়াই, মির্জাপুর, টাংগাইল এলাকার ২টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ৭টি বহুতল ভবনের ১৩৫টি চুলা, ১৭৫টি আধাপাকা বাড়ির ২৬৫ ডাবল চুলা ও ৭টি অবৈধ গ্যাস সরবরাহের উৎসমুখ এবং ১৬টি আবাসিক রাইজার স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন (কিলিং) করা হয়েছে। যার ফলে উক্ত স্থানের ৩৫টি বাড়ির অবৈধ সংযোগ স্হায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ সময় ৯১টি ডাবল চুলা, ৩টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন আবাসিক বার্নার অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে এবং ৯ জনের বিরুদ্ধে মোট ৯টি মামলায় চার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আজকালের খবর/ওআর