প্রকাশ: রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ৬:৪৭ পিএম

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা দেখছি কোনো রাজনৈতিক দল চাঁদাবাজি, খুন, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি সমর্থন করছেন না বলে সভা-সমাবেশ ও গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখছেন। কিন্তু, আমরা এটাও দেখি, পুলিশ প্রশাসন যখন কোনো চাঁদাবাজকে ধরে নিয়ে যায় তখন দলীয় নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে তাদের ছাড়িয়ে আনে।
রবিবার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় নুরুল হক নুর বলেন, সম্প্রতি চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাফিয়াদের যে উৎপাত দেখতে পাচ্ছি এটার জন্য যৌথবাহিনী নামানো দরকার। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত নিয়মিত যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে পারে। বিশেষ করে শিল্প এলাকাকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের আধিপত্য বাড়ছে। যৌথবাহিনী সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করলে, আমরা ধারণা এ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে এখন জনপ্রতিনিধি নেই। সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান নেই। তাদের যে কাজ, সেটা কে করবে? ইউএনও করছে! ইউএনওকে অমুক দল গিয়ে এদিকে টানে, তমুক দল গিয়ে ওদিকে টানে। প্রভাব দেখাচ্ছে- আমরা গণঅভ্যুত্থানের লোক। আজ নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই বলেই এসব হচ্ছে। সেখানে যদি একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকতো, ইউএনও তার সহযোগিতা নিয়ে কাজগুলো সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারত। সে কারণে আমরা বলছিলাম- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেওয়ার জন্য। নির্বাচনের একটি পরিবেশ তৈরির জন্যও স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে।
বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের যে ধর্মীয় সংস্কৃতি সেটি মনে হয় খুব কম দেশেই রয়েছে। এখানে আমরা হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম মিলেমিশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করি। তারপরেও ৫ আগস্টের পরে দেশে নাকি সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে, জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুর, ধর্ষণ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের আশপাশে এমনটি হয়নি। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়ত ঘটেছে। আমি মনে করি, এ গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা অনেক সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে, অনেক সহনশীল ছিল। আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়লে ৫ লাখ লোকের লাশ পড়বে। ৫০০ লোকেরও লাশ পড়েনি। মানুষ তো সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ দিতে হয়।
আজকালের খবর/ওআর