প্রকাশ: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৭:৪৪ পিএম

মিষ্টি হাসির অভিনেত্রী কবরী। তিনি যেমন মিষ্টি হাসির জন্য বিখ্যাত আবার ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য বেশ আলোচিত। কোনো রাখঢাক না করেই খুব কাছের মানুষের সমালোচনা করতেন। যেমন অশনি সংকেত দেখে অভিমত দিয়েছিলেন, ‘চরিত্রে মানিয়ে গেছে ববিতা।’ আবার সত্যজিতের সিনেমায় নিজের নাম দেখে বলে দিয়েছেন ‘ববিতা চরম লেবেলের পলিটিক্স করেছেন।’ ৭১ বছর বয়সেই জগতকে বিদায় বললেও এখনও সমানভাবে আলোচানায় থাকেন কবরী। ষাটের দশকে চরম ব্যস্ত হওয়ার পরও কেন স্বাধীনতা পরবর্তী লাইম লাইটের বাইরে ছিলেন এ নিয়ে এক অনুষ্ঠানে ক্ষোভও ঝেড়েছেন। আর সেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্বয়ং ববিতার ওপর!
কবরী বলেন, “যুদ্ধের সময় দেশের হয়ে কাজ করতে আমি যখন কলকাতায় ছিলাম, তখন সত্যজিৎ দাদার সঙ্গে আমার বেশ ভালো সম্পর্ক ছিলো। তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করতেন। তো ওই সময় যেহেতু আমার দেশ ক্রান্তিলগ্নে তাই এতো না ভেবে ফান্ড গঠনে মনোযোগী হই। তবে কখনও ববিতাকে যুদ্ধ সংক্রান্ত বিষয়ে পাওয়া যায়নি, ও দেশেই ছিল। যুদ্ধের ডামাডোল ওকে ছুঁয়ে গেছে এমনটাও শুনিনি।’
যাইহোক, কলকাতায় থাকা অবস্থায় একবার লাজ লাজ্জভেঙে সত্যজিৎকে বলেছিলাম আপনার ছবিতে কাজ করতে চাই। তখন সেও বলেছিল আমার মত করে চরিত্র পেলে অবশ্যই তা আমার জন্য তুলে রাখবে। যুদ্ধ শেষে এসে দেখি, যে ববিতা যুদ্ধে কোনো ভূমিকা রাখেনি সেই কিনা মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে বেশি কাজ করছে। আসলে তখন আমি অনেক পলিটিক্সের স্বীকার হয়েছি। আবার, সত্যজিতের “অশনি সংকেত” ছবিতেও ববিতা! যা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। যেখানে সত্যজিতের ছবিতে আমি থাকার কথা সেখানে ববিতাকে আসলো কোথা থেকে!
আসলে এসবের পেছনে অনেক কাহিনী আছে এসব বলে আর ঝামেলা করতে চাইনা “এখানে স্পষ্ট যে কবরী বুঝাতে চেয়েছেন ববিতা চরম লেভেলে পলিটিক্স করেছেন।
কবরী ববিতাকে নিয়ে আরো বলেন, ‘ববিতার ক্যারেকটারের সাথে তার ম্যাকআপ, পোশাক বা অভিনয় এগুলো তেমন খাপ খায়না’। তবে অশনি সংকেতে ববিতাকে পার্ফেক্ট মনে হয়েছে।
তবে কবরীর এমন অভিযোগের ব্যাপারে ববিতা কখনো প্রতিবাদ করেননি। তারা দু’জনে সর্বশেষ রাজা সূর্য খাঁ ছবিটা করেছেন। আর সিনেমাটি ববিতার অনুরোধেই সংসদ সদস্য থাকাকালীন কবরী করেছিলেন। তাই ববিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ কতটুকু সত্য তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেল!
আজকালের খবর/আতে