সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিজয় উৎসব ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) শারজায় ইয়াকুব সৈনিক ফার্ম হাউজে এই অনুষ্ঠানে কয়েকশ নেতা-কর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত হন।
বিজয় উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম নওয়াবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আহমেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ইউএই বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আবুধাবি বিএনপির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন খতিব।
উদযাপন কমিটি সদস্য সচিব প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী ও ইউএই বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন দুবাইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াকুব সৈনিক, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মীর কামাল, জাতীয়তাবাদী সমর্থক দল ইউএই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোলাপ মিয়া, আবুধাবি বিএনপির সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমানুল কিবরিয়া, আরব আমিরাত বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক নুরুন্নবী ভূইয়া, আরব আমিরাত বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম, কুয়েত বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মনজুর আলম মঞ্জু, দুবাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মনসুর, আবুধাবি বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সোহেল, আল-আইন বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম, সিআইপি নজরুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, নতুন করে দেশ গঠনের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দেশকে আরো এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপকভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে হবে। বিদেশের মাটিতে দেশের সুনাম নষ্ট করা যাবে না। এ সময় তারা বাংলাদেশ মিশনে সেবার ক্ষেত্রে প্রবাসীরা যেন বৈষম্যের শিকার না হন; সেই বিষয়ে কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে যারা বিগত সরকারকে ব্যবহার করেছে, অর্থ পাচার করেছে তাদের স্থান যেন মিশনগুলোতে না হয়; এই বিষয়েও সর্তক করেন বক্তারা।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈষম্যহীন দেশ গঠনের লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে যে বাংলাদেশ আজ দাঁড়িয়ে আছে, সেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে দেশের মতো প্রবাসেও বৈষম্য দূর করতে হবে। বৈষম্যহীনভাবে বাংলাদেশ মিশনগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা ও সেবা প্রদান করা প্রয়োজন। তা না হলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সুফল পাওয়া যাবে না।
দীর্ঘদিন পর মুক্ত ও স্বাধীনভাবে বিজয় উৎসব পালন করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই মিলনমেলা ছোট্ট বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোররাও দিনব্যাপী বিজয় উৎসবে সামিল হয়েছেন।
আলহাজ ইয়াকুব সৈনিক বলেন, আমরা যারা এদেশে বসবাস করছি সবসময় স্থানীয় আইনকানুন মেনে চলতে হবে। কোন ব্যক্তির জন্য যেন দেশের সুনাম নষ্ট না হয়; এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমিরাতে বাংলাদেশি সামাজিক সংগঠনগুলোকে প্রবাসীদের কল্যাণে আরো বেশি কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে বাংলাদেশ মিশনের প্রতি আহবান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শ্রমবাজারকে বহির্বিশ্বে পিছিয়ে দিতে পাশ্ববর্তী দেশের কিছু লোক কাজ করছে। কারা আমাদের শ্রমবাজার নষ্ট করতে চায় এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। নতুন করে দেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বৈধপথে বেশি বেশি দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে হবে।
এ সময় অন্যান্যে মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন- ইউএই যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ রানা, ইউএই শ্রমিক দলের যুগ্ন সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু, আজমান বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক ছগির, প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন, ইউএই যুবদলের সহ-সভাপতি জানে আলম, বিজনেস ফোরাম ইউএইর সভাপতি কামাল হোসাইন সুমন, শারজাহ যুবদলের সভাপতি মো. মানিক, রাস আল খাইমাহ যুবদলের সভাপতি মো. মনসুর, আল আইন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, উম্ম আল কোয়াইন যুবদলের সভাপতি জুনায়েদ আহমেদ, ঢাকা প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা প্রকৌশলী লুতফুর রহমান সুমন, দুবাই যুবদলের সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্বাসী, ইউএই শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু, দুবাই বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস মিয়া, শওকত হায়াত, বাচা মিয়া, ডা. জসীম, প্রকৌশলী আবুল কাশেম তুহিন, সৈয়দ মইনুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
আজকালের খবর/ওআর