বাড়িভাড়া বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে আজ রবিবার (১৯ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরে যাবেন আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে এই ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী। দুপুর ১২টার পর থালা-বাটি নিয়ে শিক্ষা ভবনে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
এ দিন অবস্থান কর্মসূচি, অনশন ও কর্মবিরতি পালনের মধ্যেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা কালো পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা কালো পতাকা মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি দোয়েল চত্বর হয়ে কদম ফোয়ারা চত্বরে পৌঁছালে শিক্ষক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এতে হাজারের বেশি শিক্ষক–কর্মচারী অংশ নেন।
অনশনে অংশ নেন প্রায় ১০০ জন শিক্ষক। তাদের কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানান অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী। শহীদ মিনারে আবস্থান কর্মসূচিতে রয়েছেন অন্য শিক্ষকরা। অন্যদিকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, এক হাজার ৫০০ টাকা মেডিক্যাল ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন শুরু করেন গত ১২ অক্টোবর। পরে পুলিশি নির্যযাতনের পর লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। একইসঙ্গে সারাদেশে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।
শিক্ষক নেতা দেলোয়ার হোসেন আজিজী আরও বলেন, ‘যতক্ষণ দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ সারা দেশের শিক্ষকরা রাজপথ ছাড়বেন না। মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আর কোনও আলোচনার প্রয়োজন নেই। প্রজ্ঞাপন জারি করুন, তা না হলে উপদেষ্টাকে আমাদের প্রয়োজন নেই। দাবি আদায় যত প্রলম্বিত হবে তত সংকট তৈরি হবে। আমরা শহীদ মিনারেই কাটিয়ে দেবো।’
শনিবার কদম ফোয়ারার কাছে সমাবেশে ‘সি আর আবরার, আর নয় দরকার’, ‘রাজপথে কে রাজপথে কে, শিক্ষক শিক্ষক’, ‘ছাত্র–শিক্ষক–জনতা, গড়ে তোলো একতা’, ‘সারা বাংলার শিক্ষক, এক হও লড়াই করো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আজকালের খবর/ এমকে