এক মাস চার দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম।
রবিবার (৫অক্টোবর) সকাল থেকে ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের সরব পদচারণা দেখা যায়। এর আগে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ আবাসিক হলে উঠতে শুরু করেন।
রবিবার ছুটির পর প্রথম দিনের মতো শ্রেণিকর্যক্রমে অংশ নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ বন্ধের কারণে সেশনজটের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সোনিয়া সেহেলী বলেন, হল খোলার পর রবিবার থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থী মুখর হয়ে উঠেছে। সেশনজটের কিছুটা আশঙ্কা থাকলেও ছাত্র-শিক্ষক বসে সমন্বয় করে নিলে বেশি প্রভাব পড়বে না।
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী কাজী ফারাহ বলেন, দীর্ঘদিন পর ক্লাস শুরু হওয়ায় ভালো লাগছে। তবে আমরা বড় ধরনের সেশনজটের শঙ্কায় আছি। ভেটেরিনারি অনুষদের পড়াশোনা মূলত ব্যবহারিকনির্ভর। এই দীর্ঘ ছুটিতে আমাদের ল্যাব ও ক্লিনিক্যাল ক্লাসগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন অতিরিক্ত ক্লাস ও পরীক্ষার চাপে পড়াশোনার মান ধরে রাখা কঠিন হবে।
একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করে কৃষি অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী রাহাত আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলায় আমরা আনন্দিত, তবে প্রায় এক মাসের এই বন্ধে পড়াশোনার যে ক্ষতি হয়েছে তা কীভাবে পূরণ হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। হঠাৎ হল ছাড়তে হওয়ায় এবং আবার ফিরে আসায় আমাদের অনেককেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। আশা করি, শিক্ষকরা আমাদের অবস্থা বিবেচনা করে রুটিন তৈরি করবেন যাতে আমরা অতিরিক্ত চাপের শিকার না হই।
এর আগে বিগত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে হল খোলা ও ক্লাস পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে জানান।