গণঅভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার হাসিনার জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। সেই পোস্টের পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অনেকের মতো ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। এন্ড অব দ্য ডিসকাশন।’
এরপর পাল্টা পোস্ট দিয়ে সাকিব লিখেছেন, ‘যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তার জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না! ফিরব হয়তো কোনো দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ।
সাকিবের এই স্ট্যাটাসে কমেন্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি লিখেছেন, টাকার কাছে নিজেকে বেঁচে দেওয়া তোর মতো লোভী, শুয়োর রক্তে কেনা বাংলাদেশের জার্সি বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনোদিন গায়ে দিতে পারবে না।
এদিকে, সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তিনি লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের একমাত্র পরিচয় - খুনি ও গণহত্যাকারী। জুলাইয়ের ঘাতকদের আর কোনো পরিচয় হতে পারে না।
সাদিক কায়েম আরও লিখেছেন, ক্রিকেটার সাকিব এবং রাজনীতিবিদ সাকিব আলাদা- এই বয়ান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা যারা করেছিলেন, তাদের উদ্দেশ্য জাতির কাছে স্পষ্ট। একইভাবে বিভিন্ন পেশার গণহত্যাকারীদেরকে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, পেশাজীবি, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক নানা পরিচয় দিয়ে নরমালাইজ এবং পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হয়েছে।
ডাকসুর এই ভিপি লিখেছেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী আমলে সর্বস্তরে জেঁকে বসা ফ্যাসিস্ট, ফ্যাসিস্টের দোসর এবং ফ্যাসিবাদী কাঠামো ভেঙে চুরমার করা পর্যন্ত জুলাই প্রজন্ম ক্ষান্ত হবে না।
আজকালের খবর/ এমকে