প্রকাশ: রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৭:২৭ পিএম

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এক বছরের বেশি বিভাগে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলামকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত ২৭০তম সিন্ডিকেট সভার ২৪নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। এই অধ্যাপক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ডেকোটায় ইন্সট্রাকশনাল ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে এমএস ডিগ্রিতে ভর্তি আছেন।
প্রজ্ঞাপন ও রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকেন। এ বিষয়ে একই বছর ৯ ডিসেম্বর শিক্ষাছুটি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির ১৯৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে এক মাসের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি যোগদান করেনি। তাছাড়া বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।
পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ২৬৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অপরাধের মাত্রা নির্ধারণপূর্বক শাস্তির ধরণ উল্লেখ করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশের আলোকে সর্বশেষ ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৩ (য) ধারা অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪ (১) (২) ধারা অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট থেকে ড. জহুরুলকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক জহুরুল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ডেকোটায় ইন্সট্রাকশনাল ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে এমএস ডিগ্রিতে ভর্তি আছেন। সেখান থেকে তিনি গত ২২ জানুয়ারি ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নিয়মবহির্ভূতভাবে তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে ছুটির আবেদন করলেও মঞ্জুর করা হয়নি এবং তাকে না জানিয়েই বেতন বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে দেশের বাইরে থাকায় অধ্যাপক জহুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিজেও জানি না কোন কারণে অনুমতিবিহীন ছুটি বলতেছে। আমি বন্ড দিয়ে ছুটি নিয়ে আসলাম। ২০২৪ সালের আগস্ট আমার ছুটি শুরু। এক প্রশাসন ছুটি দিবে, অন্য প্রশাসন চাকরি খাবে সেটা তো অমানবিক। গত বছর নভেম্বরের ৩ তারিখ আমাকে একটা চিঠি দিয়েছিল। তারপর গত মাসের ২৮ তারিখ আমি ছুটি চেয়ে উপাচার্য বরাবর চিঠি পাঠিয়েছি। পরে শুনলাম আমার আবেদন গৃহীত হয়নি। অথচ, যে ব্যক্তি শিক্ষা ছুটি ছাড়া গবেষণা করে, সে ৫ বছর পেতে পারে। অথচ আমার সাথে এ কেমন অবিচার!
আজকালের খবর/ওআর