কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলা শুধু একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক ‘গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সতর্কবার্তা’ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ইসরায়েলের এমন বর্বরোচিত পদক্ষেপ প্রমাণ করছে, দেশটির কাছে কোনো ‘রেড লাইন’ বা চূড়ান্ত সীমারেখা মেনে চলার কোন বাধ্যবাধকতা আর নেই। ইসরায়েল নিজেকে এমন এক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে, যে চাইলেই যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে পারে।
এক বিশ্লেষক বলেন, ‘কেউ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারছে না। যখন মার্কিনিদের কাছে অভিযোগ জানানো হয় যে ইসরায়েসীমা অতিক্রম করছে, তখন ওয়াশিংটন শুধু আশ্বাস দেয় যে এমনটি আর হবে না। কিন্তু বাস্তবে বারবার ঘটছে।’
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও আলজাজিরার প্রতিবেদক আলি হাসেম উল্লেখ করেন, ‘সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর নতুন সরকার ইসরায়েলের জন্য হুমকি ছিল না। তবুও ইসরায়েল প্রতিদিন সেখানে হামলা চালাচ্ছে। এখন একই চিত্র দেখা যাচ্ছে কাতারেও।’
তার মতে, এটি ইসরায়েলের সামরিক কৌশলে এক নতুন মতবাদ। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘোষিত নীতির প্রতিফলন ঘটছে—‘আগে আঘাত করো, আগে হত্যা করো।’ অর্থাৎ প্রতিপক্ষ আসলেই হুমকি হয়ে উঠুক বা না উঠুক, এমনকি শুধু সন্দেহের ভিত্তিতেই আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলেন, এই প্রবণতা মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে এক নতুন বাস্তবতা তৈরি করবে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে আরও সুদূরপ্রসারী হতে পারে।
আজকালের খবর/ এমকে