কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের হামলায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। হামাস জানিয়েছে, এই হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ নেতা খালিল আল-হায়্যার ছেলেও ছিলেন। এছাড়া কাতারের নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যও নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
কাতার এই হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যা দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পূর্বসতর্কতা দেওয়া হয়নি। ফ্রান্স এই হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেছে। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, এটি কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। সৌদি আরব এই ঘটনাকে ‘নৃশংস ইসরায়েলি আগ্রাসন’ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে।
দোহায় ইসরায়েলের হামলার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, এই হামলাকে আমরা কেবল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হিসেবেই বর্ণনা করতে পারি। তিনি আরও বলেন, এটি পুরো অঞ্চলের জন্য একটি বার্তা যে, এখানে একটি বেপরোয়া শক্তি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, হামলার ১০ মিনিট পর যুক্তরাষ্ট্র কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল এমন অস্ত্র ব্যবহার করেছে যা রাডারে ধরা পড়েনি। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, হামলায় ১০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছে।
আজকালের খবর/ এমকে