
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বঞ্চিত করার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকার মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অংশ নেন।
কিন্ডারগার্টেন ও সমমান শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতে একটি রিট দাখিল করা হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে এই রিটের রায় না আসা পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। উচ্চ আদালত থেকে যে রায় আসবে তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।
এর আগে মিরপুর-২ এ অধিদপ্তরের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রতিনিধিরা। বৈঠকে শিক্ষক প্রতিনিধিরা বুঝতে পেরেছেন যে, উচ্চ আদালতে রিটের রায়ের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে অধিদপ্তর।
কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পরিপত্র বাতিলের দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব মো. রেজাউল হক বলেন, কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডের কারিকুলাম অনুসরণ করে দেশের কৃষ্টি-কালচার পুরোপুরি অনুসরণ করে উন্নতমানের শিক্ষাপ্রদান করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশব্যাপী এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সামাজিকভাবেও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় এক কোটির বেশি ছাত্র-ছাত্রী উন্নতমানের শিক্ষালাভের সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়াও ৮ লাখের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অথচ সরকার বৈষম্যমূলক পরিপত্র জারি করে কিন্ডারগার্টেন ছাত্রছাত্রীদের বঞ্চিত করেছে। এ সব কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখাসহ বিগত বছরগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ও ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঈর্ষণীয় সাফল্যের সাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. ইস্কান্দার আলী হাওলাদারের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন- বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. এল এম কামরুজ্জামান, সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন সোসাইটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. জয়নুল আবেদীন জয়, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন আলহাজ্ব ডা. মো. হাছান আলী, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্টপোষক বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খন্দকার, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন সোসাইটির সভাপতি আবু তালেব, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক মো. সফিকুল ইসলাম স্বপন, মহাসচিব এম এ মান্নান মনির, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব লায়ন মো. তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের কো-চেয়ারম্যান মো. হাসানুজ্জামান খসরু, মহাসচিব মো. ইস্রাফিল হোসেন, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লায়ন মো. দিদারুল ইসলাম, মহাসচিব মো. আব্দুল অদুদ, গাজীপুর কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ মোছাদ্দিকুর রহমান, মহাসচিব মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কিন্ডারগার্টেন সোসাইটির সভাপতি মো. ফারুক আহম্মেদ, মহাসচিব তকবির আহমেদ, প্রাইভেট স্কুল ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও মহাসচিব মুহাম্মদ শফি উল্ল্যাহ (মিরাজ), বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের (হাবিবুর রহমান) সভাপতি মো. খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ফোরামের সভাপতি মো. আব্দুল মাতিন, মহাসচিব হাসিবুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আজকালের খবর/বিএস