প্রকাশ: বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৪:৪৯ পিএম

সম্প্রতি সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বহিষ্কৃত ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী সাফওয়ান চৌধুরি রেবিল কর্তৃক আলোচিত শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন এবং আসিফ মাহতাব উৎস-কে প্রকাশ্য হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ ওঠে। অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামী অ্যাক্টিভিস্টরাও এই হুমকিদাতার পক্ষে দাঁড়ায়। এতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের ওপর ঘটে যাওয়া ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বুধবার (২০ আগস্ট) সংগঠনটির ইবি শাখার প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সই করা এক বিবৃতির মাধ্যমে এ নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান সংগঠনটি।
বিবৃতি সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচালিত একটি উগ্র ও উস্কানিমূলক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির লেকচারার আসিফ মাহতাব উৎস-এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে নৃশংস ও অমানবিক ছবি প্রকাশ করে ঘৃণা ও সহিংসতা ছড়ানো হয়, যা সরাসরি বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ও সাইবার সুরক্ষা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ঘটনায় উভয় শিক্ষক যথাযথভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং অবিলম্বে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।
শাখা সভাপতি সাদেক আহমদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ আহমদ খান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন একজন আন্তর্জাতিক মানের গবেষক— যিনি থ্যালাসেমিয়া, ডেঙ্গু ও শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা ও জনসচেতনতামূলক কাজ করে চলেছেন। অপরদিকে, আসিফ মাহতাব উৎস একজন সাহসী ও জনপ্রিয় শিক্ষক, যিনি চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান-সহ বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হত্যার প্ররোচনা কেবল ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ওপর হুমকি নয়, বরং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং আইন-শৃঙ্খলার জন্যও একটি গুরুতর হুমকি।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি ‘সাফওয়ান চৌধুরী রেবিল’ নামে পরিচিত, এবং তিনি ‘Antarctica Chowdhury’ নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন। তিনি সিলেটের মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন, এবং শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানানো হলেও, তা অপরাধের মাত্রার তুলনায় যথেষ্ট নয়। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে জোরালোভাবে আহ্বান জানাই— অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের ঘৃণ্য ও সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়াতে সাহস না পায়।
আজকালের খবর/ওআর