প্রকাশ: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ৭:১৩ পিএম

সমালোচনার মধ্যে এবার কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে লাইভে এসে বার্তা দিলেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাইভে আসেন তিনি।
এ সময় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মানুষের সামনে ২৪ দফা ইশতেহার দেওয়া হয়েছে। এই ২৪ দফার মধ্যে ২১ নম্বরে বলা হয়েছে জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং নদী ও সমুদ্র রক্ষার কথা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশাল সম্ভাবনার জায়গা এই সমুদ্র। এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমরা কিভাবে এই সমদ্রকে, আমাদের বায়ো ডাইভারসিটিকে রক্ষা করতে পারি; সমুদ্র তীরবর্তী মানুষের টেকসই জীবনধারণ কিভাবে নিশ্চিত করতে পারি। আমাদের আশঙ্কা অনেক বাড়িঘর সমুদ্রে বিলীন হতে পারে। সে জন্য আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সেই জায়গায় সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। যেমন: দুর্যোগের যে পূর্বাভাস দেওয়া হয় সেগুলো যেন একটা নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই দেওয়া হয়। যাতে এর ফলে ক্ষয়ক্ষতি যেন কমে আসে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যেন সমুদ্রকে সম্পদে পরিণত করতে পারি। সমুদ্র থেকে যেন খনিজসম্পদ আরোহণ করতে পারি এবং সেগুলো যেন টেকসই হয়। আমাদের টেকসই নদী ও সমুদ্র দরকার।’
সারজিস বলেন, ‘আমরা দেখছি কক্সবাজারের যেখানে-সেখানে ভবন তোলা হচ্ছে। কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। যেখানে-সেখানে জমি দখল করছে। সরকারি কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে অবৈধভাবে জমি লিজ নিচ্ছে। সৈকতের পাড়ে প্রাচীর দেওয়া হচ্ছে। কোন গবেষণার ফলে এগুলো হচ্ছে, আমরা জানি না।’
তিনি বলেন, ‘এই অব্যবস্থাপনা থেকে আমাদের পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে রক্ষা করা প্রয়োজন। আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে পরিবেশ সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই।’
প্রসঙ্গত, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) কক্সবাজার সফরে যাওয়ার ঘটনায় হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলমসহ পাঁচজন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এই সফরের বিষয়ে কোনো তথ্য বা ব্যাখ্যা দলের রাজনৈতিক পর্ষদকে আগে জানানো হয়নি উল্লেখ করে নোটিশে এই সফরের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলের দুই শীর্ষ নেতার কাছে সশরীর উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আজকালের খবর/ওআর