ইসরায়েল-ইরান আকাশযুদ্ধ বন্ধ এবং পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় চলতি সপ্তাহেই মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির মধ্যে একটি বৈঠক আয়োজনের সম্ভাব্যতা নিয়ে ওয়াশিংটন তেহরানের সঙ্গে আলোচনা করছে।
বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার এ খবর দিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে তাদের খবরের সত্যতা নিশ্চিত হতে পারেনি।
একইদিন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ফক্স নিউজকে বলেছেন, মার্কিন মিত্র ইসরায়েল ও তেহরানের মধ্যে বৈরিতা চরম আকার ধারণ করলেও প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এখনও ইরানের সঙ্গে একটি পরমাণু চুক্তি করতে আগ্রহী।
আলাদাভাবে হোয়াইট হাউজের এক সহযোগী বলেছেন, ওয়াশিংটন ইরানে আক্রমণ করছে না।
শুক্রবার আচমকা ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর মধ্যপ্রাচ্যের দুই বৈরি দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এতে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানি কর্মকর্তারা। এ নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। ইসরায়েলও তাদের ২৪ বেসামরিক নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে।
তেল আবিব বলছে, তাদের হামলার লক্ষ্য হচ্ছে ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে উদ্ভূত হুমকি দূর করা।
অন্যদিকে তেহরান বলছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে না এবং তাদের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ।
ইসরায়েলই মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ, যাদের পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে ধারণা করা হয়। তেল আবিবও বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছে। তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কি না, সে বিষয়ে কখনোই সরাসরি কোনো উত্তর দেয়নি তারা।
ওয়াশিংটন বলছে, ইরানে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা নেই। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বা স্বার্থে হামলার ব্যাপারে তেহরানকে সতর্কও করেছে তারা।
“আমরা সজাগ, প্রস্তুত, এবং শুরু থেকেই আমরা বারবার এই বার্তাই দিয়ে আসছি—এই অঞ্চলে আমরা আছি আমাদের জনগণ ও সম্পদ রক্ষার জন্য,” ফক্স নিউজকে বলেছেন হেগসেথ।
আজকালের খবর/ এমকে