চূড়ান্ত গেজেটে অজানা কারণে বাদ পড়েছেন ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএস) পরীক্ষায় অংশ নেওয়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থী।
এরই প্রতিবাদে প্রাক-নিয়োগ জীবনবৃত্তান্ত যাচাই প্রক্রিয়ার সংস্কার, স্বচ্ছ জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং বঞ্চিত প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ ভবনের সামনে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে তারা। এই সময় আইন অনুষদভুক্ত তিন বিভাগ—আইন, আল ফিকহ এন্ড ল’ ও ল এন্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এসময় চূড়ান্ত গেজেটে প্রার্থীদের বাদ পড়ার কারণ জানতে চান শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের ৩০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেনাজ হুমায়রা কুহেলীকে দ্রুত গেজেটভুক্তির দাবি জানান ইবি শিক্ষার্থীরা।
এসময় ইবি শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী বিপ্লব পরবর্তী সময়ে এমন প্রহসনমূলক আচরণ আমরা প্রত্যাশা করি না। দলমতের উর্ধ্বে গিয়ে মেধার ভিত্তিতে চাকরি দিতে হবে। মানুষের জীবিকার অধিকার বাধাগ্রস্ত করার অধিকার কারো নাই। সুপারিশপ্রাপ্ত ১৩ জনকে গেজেটেড করে চাকরিতে যোগদান নিশ্চিত করতে হবে। আত্মীয় স্বজনের রাজনৈতিক প্রভাব শিক্ষার্থীরা নিবে কেন? তারা কি কোনো পদের নেতা ছিল?’
আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব বাবু চাকলাদার বলেন, ‘কিসের ভিত্তিতে তাদের গেজেট দেয়নি প্রশাসনের কাছে আমরা জানতে চাই। এটা শুধু একটা সংখ্যা না। তারা আমাদের পরিবারের অংশ। তারা বিজেএস প্রিলিমিনারী, লিখিত এবং ভাইভার মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। প্রতিটি পরীক্ষায় তারা মেধার পরিচয় দিয়েছেন। তারপরও প্রশাসন তাদের প্রতি প্রহসনমূলক আচরণ করেছে।’
পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের মানববন্ধনে বিভাগের শিক্ষকরা স্বাগত জানিয়েছেন। আইনের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আছি। প্রহসনমূলক আচরণের বিরুদ্ধে যদি হাইকোর্টে রিট করারও প্রয়োজন হয় আমরা সেদিকেও অগ্রসর হব ইনশাআল্লাহ।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ১ হাজার নম্বরের বিজেএস লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিজেএসে মোট ১০২ জনকে সুপারিশ করে। তবে গত ২৭ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে কেবল ৮৮ জনকে সিভিল জজ (শিক্ষানবিশ) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়। বাকি ১৩ জন বাদ পড়েন।
আজকালের খবর/ এমকে