গত শুক্রবার থেকে নরসিংদী–ঢাকা এলাকায় ভূমিকম্পের একটি Sworm শুরু হয়েছে। মূল কম্পন ৫.৭ মাত্রার এবং মাত্র ১০ কিমি গভীরে হয়েছিল, যা শহরে শক্তিশালী দোলন সৃষ্টি করেছে। এরপর পরবর্তী কয়েকটি কম্পন দেখা গেছে, যার মাত্রা ৩.৬ থেকে ৪.৩ পর্যন্ত। এই Sworm চলাকালীন আমরা জানা দরকার , কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এই fault line এবং ঢাকায় বড় ধরণের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা কতটা বাস্তবসম্মত।
নরসিংদী–ঢাকা fault এবং ঝুঁকির অবস্থা
ঢাকা–নরসিংদী fault line ছোট এবং স্থানীয় ধরনের। এটি কোনো মেজর tectonic fault নয়। historical data অনুযায়ী, এই এলাকায় সাধারণত ৫–৬.৩ মাত্রার কম্পন হয়, তার চেয়ে বড় কম্পনের কোনো ইতিহাস নেই। কারণ, fault ছোট, shallow এবং জমা থাকা energy সীমিত। তাই ঢাকায় ৮ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হওয়া ইনশাআল্লাহ অসম্ভব। এটি শুধুই কিছু লোকের অতিরঞ্জিত ভয়। তবে তারমানে এই না যে বিপদমুক্ত। বাংলাদেশে অন্য যে বড় ফল্টগুলো আছে সেখানে ৭-৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় অনেক দূর্বল ভবন ধ্বস ও প্রাণহানি হওয়া স্বাভাবিক। সে আলোচনায় না যাই, আপাতত এই ফল্টের আলোচনায় থাকি যেহেতু এটা এখন এক্টিভ।
আফটারশক এবং গভীরতার গুরুত্ব
পরবর্তী কম্পনগুলোতে গভীরতা জানা গুরুত্বপূর্ণ। Shallow কম্পন অর্থাৎ ১০ কিমি বা কম গভীরতা বেশি shaking এবং ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়ায়। সিস্মোলজিস্টদের উচিত ছিল প্রতিটি আফটারশকের গভীরতা জানানো, যাতে ঝুঁকি আরও সঠিকভাবে বোঝা যেত। গভীরতা যত কম, ঝুঁকি তত বেশি, আর গভীরতা বাড়লে দোলন কমে যায়।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নজর রাখার বিষয়
এখন আমাদের লক্ষ্য হলো সতর্ক থাকা এবং আগাম প্রস্তুতি রাখা। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, যদি কোনো নতুন কম্পন ৪+ মাত্রা হয়, বা একই এলাকার কম্পনগুলি দ্রুত এবং ঘন ঘন হয়, অর্থাৎ frequency বেড়ে যায়, অথবা কম্পনগুলো বিস্তৃতভাবে অনুভূত হয়, অথবা গভীরতা কম থাকে, তখন সতর্ক হওয়া উচিত। এ ধরনের পরিস্থিতি নির্দেশ দিতে পারে যে fault line active আছে এবং পরবর্তী শক্তিশালী কম্পনের সম্ভাবনা বেশি। এই সময়ে নিরাপদ স্থানে থাকা, Emergency kit প্রস্তুত রাখা এবং শহরের পুরোনো বা দুর্বল ভবনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
পরিশেষে বলতে চাই, বর্তমান Sworm আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাস্তব। তবে ঢাকায় ৮ বা তার বেশি মাত্রার কম্পন হওয়া ইনশাআল্লাহ অসম্ভব, তাই প্যানিক করার কিছু নেই। আরেকটা নিউ মেইনশক হতেই পারে ৫-৬.৩ মাত্রার, সেটা অসম্ভব কিছু না তবে কখন হবে সেটা বলা যায় না। এসময় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই, ধৈর্য ধরে সতর্ক থাকি এবং Emergency kit সব সময় হাতের কাছে রাখি। সঠিক সচেতনতা এবং প্রার্থনার মাধ্যমে আমরা নিরাপদ থাকতে পারব ইনশাআল্লাহ।
‘শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখা পর্যন্ত আল্লাহ যেন খালেদা জিয়াকে বাঁচিয়ে রাখেন’
খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চাইলেন তামিম
খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
লিবিয়া থেকে ফিরছেন আরও ১৭৫ বাংলাদেশি
খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময়: মির্জা ফখরুল
এবার রাশিয়ান ফিল্ম উৎসবে জুলফিকার জাহেদীর অনন্য অর্জন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মধ্যরাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে গুলি করে হত্যা
শহীদ ফায়ার ফাইটারদের পরিবারের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
বন্যা-ভূমিধসে শ্রীলঙ্কায় নিহত ৪৪