
সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শরীরচর্চার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ছায়ানট মনে করে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য দুটি বিষয়ই অপরিহার্য।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উদার ও সহিষ্ণু সমাজ গড়ার জন্য সংগীতশিক্ষা ও শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ছায়ানট অনুরোধ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে সংগঠনটি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করতে আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের সম্মুখে শিল্পী-শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা সংগীত পরিবেশন করেন, এসময় বিপুল সংখ্যক ছায়ানট শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিলো বলে জানিয়েছেন লাইসা আহমদ লিসা।
শিল্পী-শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ী মিলিয়ে ৭০০ থেকে ৮০০ মানুষের অংশগ্রহণে এ আয়োজন শুরু হয় সম্মিলিত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমি মারের সাগর পাড়ি দেব, বিষম ঝড়ের বায়ে’ গানটি দিয়ে। এরপর কাজী নজরুল ইসলামের দেশাত্মবোধক গান ‘ও ভাই, খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি’, লালনগীতি ‘এমন মানব জনম আর কি হবে’ গাওয়া হয়। সবার শেষে ছিল জাতীয় সংগীত।
গানের পর ছায়ানটের সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী বক্তব্য বলেন, ‘যারা মনে করে যে সংগীতের শক্তি বক্তৃতার চাইতে অনেক শক্তিশালী। আর তাই সংগীতের মধ্য দিয়েই আজকে আমাদের এই আয়োজন ছিল।’
সারওয়ার আলী বলেন, ‘সম্প্রতি যে অস্থিরতা আমরা লক্ষ করছিলাম, আমাদের মনে হয়েছে, আমাদের নয় শুধু, সর্বজনের মনে হয়েছে, সরকারেরও মনে হয়েছিল যে তাদের শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য, দেশে একটি মানবিক সমাজ, যে সমাজ উদার ও সহিষ্ণু, তেমন সমাজ গড়ার জন্য, সংগীতচর্চা ও শারীরিক চর্চা খুব প্রয়োজন।’
বলা জরুরি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্টি করা সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ দুটি ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে বাতিল করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ দুটি পদ বাদ দেওয়ার পাশাপাশি ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫’ এ কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ও আনা হয়েছে।
আজকালের খবর/আতে