
‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্লান’ শীর্ষক শহিদদের স্মরণে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও আলোচনা সভা। আজ রবিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহিদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করেন এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির গাজীপুর মহানগরের প্রভাবশালী নেতা আলহাজ্ব হান্নান মিয়া হান্নু। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ক্ষমতার লোভে যদি আবারো ফ্যাসিবাদের জন্ম দেন, তবে এর দায় আপনাদেরকেই নিতে হবে। গোটা দেশজুড়ে নানা জায়গায় আপনারা প্রোগ্রাম করছেন আর এ সুযোগে ফ্যাসিস্ট শক্তির ধূসররা নিরীহ মানুষদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই ফ্যাসিস্ট সরকারের পেটোয়াবাহিনীরা আমাদের নেতাকর্মীদের খুঁজে না পেলে আমাদের সন্তান, মা-বাবা, স্ত্রীদের পর্যন্ত ধরে নিয়ে গেছে। হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে কারাভোগ করিয়েছে, নির্যাতিত করেছে।
হান্নান হান্নু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরও বলেন, আপনারা বারবার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করেন। এটি বন্ধ করুন। তা না হলে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের লাখ লাখ নেতাকর্মী এর কঠোর জবাব দেবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এদেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে তাড়িয়েছে। ১৭ বছর আমরা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাদের ঘামে, রক্তে, চোখের জলে গণতন্ত্র ফিরেছে। তাই এদেশে আর যদি কোনো অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়, তাহলে এর দায়ভার আপনাদেরই নিতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক দল গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি মো. আতাউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ময়জউদ্দিন তালুকদার।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল। আরও বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব খান জাহিদুল ইসলাম নিপু, মহানগর বিএনপি নেতা আকম মোফাজ্জল হোসেন, জয়নাল আবেদীন তালুকদার, কেন্দ্রীয় মহিলা দল নেত্রী আনোয়ারা বেগম, জাকির হোসেন তারেক, সহিদুজ্জামান সরকার, জসিম উদ্দিন মায়া, দেলোয়ার হোসেন, রহমত উল্লাহ, সাইফুল ইসলাম আতা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে তাদের আত্মত্যাগকে চিরসবুজ করে রাখার আহ্বান জানান এবং দেশে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দেন।
আজকালের খবর/ওআর