প্রকাশ: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৮:৩১ পিএম

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের কোনো বন্দরই আন্তর্জাতিকভাবে গড়ে ওঠেনি। এমনকি চট্টগ্রাম বন্দরেরও সেভাবে আন্তর্জাতিক কানেকশন নেই। আমাদের দেশে পায়রা বন্দর নামে নতুন বন্দর তৈরি করা হয়েছে। আমরা নতুন এ বন্দরের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পায়রা বন্দরকে গ্রিন পোর্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
রবিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রে পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ড্রেজিংয়ের জন্য পায়রা বন্দরের ক্যাপাসিটি বাড়ানোর দরকার আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকেও এটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে পায়রা বন্দরকে দুটি ড্রেজার দিতে পারব। ক্রেনের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পায়রা বন্দরকে টেকসই বন্দর হিসেবে গড়তে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত ছয় লেন না হলেও চার লেনে উন্নীত করা হবে। রেললাইন স্থাপনের সম্ভাব্যতার কাজ এগিয়ে চলছে। পায়রা বন্দরকে ঘিরে বিভিন্নমুখী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের (পিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেদারল্যান্ডসভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েল হাসকনিং ডিএইচভির দলনেতা এবং আন্তর্জাতিক বন্দর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ মি. মেনো মুইজ।
কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে পায়রা বন্দরের মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক তথ্য তুলে ধরেন মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পের দলনেতা এবং বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ইসতিয়াক আহমেদ।
সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সামরিক ও বেসামরিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বরিশাল বিভাগ ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা, বন্দর ব্যবহারকারী-অংশীজনসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আজকালের খবর/ওআর