প্রকাশ: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৫:০৭ পিএম

গত ৫০ বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিভাজিত করে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা জানি এখানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা, ধর্ম ও ভূমির অধিকার নিয়ে লড়াই করছেন। অন্যদিকে বাঙালি জাতিগোষ্ঠীও অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাহাড়ের সব জনগোষ্ঠী নির্যাতিত ও অধিকারহীন। তাই আমাদের লড়াইটা একসঙ্গে লড়তে হবে, কাউকে বাদ দিয়ে নয়।
রবিবার (২০ জুলাই) দুপুরে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে রাঙ্গামাটিতে এক পথসভায় এসব কথা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, পাহাড়ের দীর্ঘদিনের বিবেদ ও অশান্তি দূর করে, পাশাপাশি সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবো।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা মনে করি একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশই সবার প্রত্যাশা। যে বাংলাদেশে সব ধর্মের, সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারবেন। আমরা দেখেছি গত ৫০ বছরে বাংলাদেশকে নানাভাবে বিভাজিত করে রাখা হয়েছে। যার অন্যতম উদাহরণ এই পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখানে নানান বিভাজন নানান অশান্তি জিইয়ে রেখে অন্য একটি পক্ষ বার বার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা এই তৃতীয় পক্ষকে আর কোনো সুবিধা নিতে দেবো না।
রাঙ্গামাটির পথসভায় নাহিদ আরও বলেন, বাংলাদেশের ৭২ এর সংবিধান মুজিববাদী সংবিধান। এই সংবিধানে সব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে এখানে অবাঙালি জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে বিবেদ তৈরি করা হয়েছে। আমরা সব বিবেদের ঊর্ধ্বে গিয়ে সব জনগোষ্ঠীকে মর্যাদা দিয়ে একটি নতুন সংবিধান তৈরি করতে চাই।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন পাহাড়ের নেতা এমএন লারমা (মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা) সেই ৭২ এর সংবিধানের বিরোধিতা করেছিলেন। আমরা চাই মুজিববাদী সংবিধানকে বাতিল করে নতুন একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান। যেখানে আপনার ও আমার অধিকারের কথা থাকবে।
পথসভায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার মুখ্য সমন্বয়ক বিপিন জ্যোতি চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আজকালের খবর/ওআর