প্রকাশ: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ২:৩৮ পিএম

দেশে ৩৫টি জীবন বিমা কম্পানির কার্যকারিতা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট ৭০ লাখ ৮৬ হাজার পলিসি করছে মানুষ। এসব পলিসির মধ্যে অন্তত সাড়ে ১২ লাখ এখন কার্যকারিতা হারিয়ে অর্থাৎ বা বাতিল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এসব পলিসি বাতিলের কারণ হিসেবে জানা গেছে, সময়মতো প্রিমিয়াম না দেওয়ায় এসব পলিসি বন্ধ করে দিয়েছে কোম্পানিগুলো।
পলিসি তামাদি হওয়ায় বিমাকারীর মৃত্যুর পর এই বিমা থেকে বেশির ভাগ পরিবারই কোনো আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে না।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের শেষের দিকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৩৫টি জীবন বিমা কোম্পানির মোট ৭০ লাখ ৮৬ হাজার পলিসি রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১২ লাখ ৫০ হাজার পলিসিই এখন কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলেছে। যার হার মোট পলিসির ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বাতিল হওয়া এসব পিলিসির বিপরীতে গ্রাহকদের দাবি ছিল ১২ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা, কিন্তু পরিশোধ হয়েছে মাত্র ৮ হাজার ৫৯০ কোটি। অর্থাৎ ৪ হাজার ৩৫ কোটি টাকা আটকে আছে বিমা কোম্পানির কাছে।
আইডিআরএ এর তথ্য অনুযায়ী, সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের মোট ২ লাখ ৮৫ হাজার ৩১১টি পলিসির মধ্যে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৮টিই তামাদি।
এই প্রতিষ্ঠানেই তামাদি পলিসির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মোট পলিসির প্রায় ৮৩ দশমিক ৩৪ শতাংশই বাতিল হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেল্টা লাইফ, যেখানে ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৭টি পলিসির মধ্যে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৬৮টি তামাদি। এর পর পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ৭ লাখ ২৫ হাজার ৭৬৬টি পলিসির মধ্যে তামাদি হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৯টি।
এ ছাড়া ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের মোট ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯৫টি পলিসির মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৪৫টি পলিসি তামাদি হয়েছে।
আজকালের খবর/বিএস