পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল শিক্ষা
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫, ৮:৩৬ পিএম
আগামী বিশ্ব হবে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তিনির্ভর। তখন বদলে যাবে নিরক্ষরতার সংজ্ঞাও। যিনি ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে জানবেন না তখন সেই ব্যক্তিকে বলা হবে নিরক্ষর। যে জাতি যত বেশি প্রযুক্তিতে দক্ষ হবে সে জাতির উন্নয়ন তত বেশি হবে। এমনি একটি পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য যে বিষয়ে জোর দিতে হবে, তা হচ্ছেÑ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিসংশ্নিষ্ট গুণগত শিক্ষাদান। সেই শিক্ষা এমন হতে হবে, যাতে তা আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য সহায়ক হয়। এবং সবার জন্য ডিজিটাল লিটারেসি। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা অনলাইনে পেতে অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন সব মানুষের জন্য এই ডিজিটাল লিটারেসির ব্যবস্থা। 

তবে সরকারকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে প্রযুক্তিসংশ্নিষ্ট গুণগত শিক্ষা বিস্তারের ওপর। দেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও সামগ্রিকভাবে শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর পাঠদানে নিয়োজিত আছেন দুই লাখ ৪৩ হাজার পাঁচশ তিপ্পান্ন জন শিক্ষক। এরমধ্যে একাওর হাজার সাতশ দুই জন প্রশিক্ষণ ছাড়াই পাঠদান করছেন। বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ স্কিলস ফর টুমোরোস জব’ শীর্ষক দুই হাজার আঠার সালের একত্রিশ মার্চের জরিপ প্রতিবেদন বলছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার নিম্নমান ও বাস্তবতার সঙ্গে এর ন্যূনতম সম্পৃক্ততার কারণে অপর্যাপ্ত তাত্ত্বিক জ্ঞান নিয়ে তারা কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হচ্ছেন। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার নিম্নমুখী মানের কারণে তাত্ত্বিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অদক্ষতার কারণে তার ভিত্তি দুর্বল হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে তা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কার্যকরভাবে দক্ষতা উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।

এমনি বাস্তবতায় প্রযুক্তিসংশ্নিষ্ট গুণগত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান যুগে নানামুখী শক্তি উচ্চশিক্ষাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করছে, যা ভবিষ্যতের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। তবে এখনো নিশ্চিত নয়, কোন মডেলটি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে বা কার্যকর হবে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে যাওয়া সমাজ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে এক অচিন্ত্যনীয় রূপ নিয়েছে। আমরা আজ যে বিশ্বে বাস করছি, তা দশ বছর আগেও কল্পনা করা যেত না। ঠিক সেইভাবে আগামী কয়েক বছরে আমাদের শেখার, পড়ানোর এবং এক জটিল ও আন্তঃসংযুক্ত বিশ্বে টিকে থাকার পদ্ধতিগুলোও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত হবে। ইতিহাস বলে, সমাজ যেমন দ্রুত পরিবর্তিত হয়, শিক্ষা ব্যবস্থা সাধারণত অনেক ধীরে পরিবর্তিত হয়। কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে প্রযুক্তির অগ্রগতি এতটাই দ্রুত ও শক্তিশালী যে এ ব্যবধান অনেকটাই কমে এসেছে। আগের শিল্প বিপ্লবগুলো যেখানে যন্ত্র, কারখানা আর শারীরিক শ্রমের ওপর নির্ভরশীল ছিল, সেখানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চালিকা শক্তি হলো উন্নত প্রযুক্তি, যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ইন্টারনেট অব থিংস, রোবোটিকস, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং ডাটা অ্যানালিটিকস। মূলত চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের ডিজিটাল, শারীরিক ও জীববৈজ্ঞানিক জগৎকে এক সূত্রে গেঁথে দিচ্ছে। তাহলে এ পরিবর্তনের অর্থ উচ্চশিক্ষার জন্য কী? সহজভাবে বললে, পরিবর্তনের চাপ দ্রুত বাড়ছে। প্রতিদিনের ব্যবধানে এআই আরো বেশি বুদ্ধিমান হচ্ছে, আর বিপুল তথ্য এখন হাতের নাগালে চলে এসেছে। তাই অনেকেই প্রশ্ন করছেন, প্রথাগত শ্রেণীকক্ষভিত্তিক শিক্ষা কি টিকে থাকবে? এর সঠিক উত্তর এখনই বলা সম্ভব নয়, তবে এটা স্পষ্ট যে দ্রুত পরিবর্তনশীল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সনাতন শিক্ষা মডেল ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

উন্নত অনেক দেশে এরই মধ্যে অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে, যদিও সেগুলো এখনো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়নি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় একই প্রোগ্রাম অনলাইন এবং ইন-পারসন উভয়ভাবে পরিচালনা করছে, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজের সুবিধা ও পছন্দমতো পদ্ধতি বেছে নিতে পারে।বলা যায়, উচ্চশিক্ষা এখনো এক ধরনের পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। হয়তো কয়েক দশক পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এমন মডেল বেছে নিতে হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই ও কার্যকর হবে। তাহলে কি ইন-পারসন উচ্চশিক্ষা হারিয়ে যাবে, নাকি এটি দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির যুগের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে? যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু জ্ঞান তৈরি এবং বিতরণের ঐতিহ্যবাহী ভূমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে তাদের টিকে থাকা অবশ্যই কঠিন হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দায়িত্ব হবে শুধু জ্ঞান বিতরণ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের এমন দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করা, যা বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয়। আজকের ও ভবিষ্যতের গ্র্যাজুয়েটরা এমন এক বিশ্বে প্রবেশ করছে, যেখানে কেবল পুঁথিগত জ্ঞানের চেয়ে দক্ষতার গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রাসঙ্গিক ও কার্যকর থাকতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত নিজেদের এমন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা, যেখানে কেবল জ্ঞান বিতরণ নয়, বরং দক্ষতা, সক্ষমতা এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অভিযোজন ক্ষমতা গড়ে তোলার ওপর জোর দেয়া হবে। আমাদের জানতে হবে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তিগুলো কীভাবে শিল্পক্ষেত্রকে বদলে দিচ্ছে, কীভাবে গ্র্যাজুয়েটরা চাকরিপ্রার্থী থেকে উদ্যোক্তায় পরিণত হচ্ছে এবং তাদের কী ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যত এগোচ্ছে, শ্রমবাজারের চেহারাও বদলে যাচ্ছে। এর ফলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক অগ্রগতির জন্য নতুন নতুন দক্ষতার চাহিদা তৈরি হচ্ছে।

উদীয়মান পেশাগুলো বিস্তৃত ক্ষেত্রজুড়ে ছড়িয়ে আছে, যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং, ডাটা সায়েন্স ও অ্যানালিটিকস, রোবোটিকস ও অটোমেশন, সাইবার সিকিউরিটি, ব্লকচেইন ডেভেলপমেন্ট, ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি ডিজাইন এবং উন্নত বায়োটেকনোলজির পাশাপাশি স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং, গ্রিন ইকোনমি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেকসই পরিকল্পনা, পরিবেশগত ডাটা বিশ্লেষণ এবং সার্কুলার অর্থনীতিতেও দক্ষ বিশেষজ্ঞের চাহিদা বাড়ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় মানুষের কেন্দ্রিক দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে, যেন গ্র্যাজুয়েটরা উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক হতে পারেন। যেমন সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি, সৃজনশীলতা, জটিল সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা, যোগাযোগ, নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করার সক্ষমতা। পাশাপাশি ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার দক্ষতা এখন প্রায় সবার জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠছে। এ পরিবর্তনগুলো আমাদের উচ্চশিক্ষার ভূমিকা নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। নীতিনির্ধারক ও শিক্ষা-নেতাদের এমন পাঠ্যক্রম ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি করতে হবে, যা আন্তঃবিভাগীয় শিক্ষা, অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষা, উদ্যোক্তামূলক দক্ষতা এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ দেয়। একই সঙ্গে প্রয়োজন সাপোর্টিভ ইকোসিস্টেম-যেমন ইনকিউবেটর, অর্থায়নের সুযোগ, শিল্পের সঙ্গে অংশীদারত্ব এবং উপযুক্ত নীতি। এতে গ্র্যাজুয়েটরা শুধু চাকরি খুঁজবে না, বরং নিজেরাও নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করতে পারবে এবং উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দ্রুত পরিবর্তনের যুগে জীবনব্যাপী শিক্ষা ও অভিযোজন ক্ষমতা হয়ে উঠছে অপরিহার্য।

শিল্পক্ষেত্রের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কর্মীদেরও নতুন নতুন দক্ষতা শিখতে হবে এবং প্রয়োজন হলে নতুন ভূমিকায় যেতে হবে। তাই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত প্রথাগত শিক্ষা পদ্ধতির বাইরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বহুমুখী দক্ষতা, আন্তঃবিভাগীয় বোঝাপড়া এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ অতিক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক দৃঢ়তা গড়ে তোলা। বহুমুখী দক্ষতা বিকাশের জন্য শিক্ষার্থীরা শুধু ডিজিটাল প্লাটফর্মের ওপর নির্ভর করতে পারবে না, যদি তারা শ্রেণীকক্ষের পরিবেশে না আসে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও বৌদ্ধিক পরিবেশে অংশ না নেয়। কাজেই ইন-পারসন শিক্ষা ব্যবস্থা টিকে থাকবে। তাই ভবিষ্যৎ শিক্ষা ব্যবস্থা শুধু অনলাইন নয়, আবার ইন-পারসনও নয় বরং দুই পদ্ধতির সেরা অংশগুলোর সমন্বয়ই হবে মূল চাবিকাঠি। ব্লেন্ডেড বা হাইব্রিড লার্নিং মডেলই সামনে এগিয়ে যাওয়ার সেরা উপায় হয়ে উঠছে।বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের দায়িত্ব ডিজিটাল এবং ইন-পারসন শিক্ষা অভিজ্ঞতাকে পরিকল্পিতভাবে একত্র করা, যাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং মানবিক দক্ষতা দুটোই গড়ে তোলা যায়। লক্ষ্য হওয়া উচিত উচ্চশিক্ষাকে এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে এটি প্রাসঙ্গিক, কার্যকর এবং এমন স্নাতক তৈরি করতে পারে, যারা প্রযুক্তিগত ভাবে দক্ষ এবং মানবিক গুণাবলিতেও সমৃদ্ধ। স্কুল পর্যায়ে প্রোগ্রামিং শেখার সুযোগ সৃষ্টি ও সাফল্য নিয়ে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন কানাডার প্রখ্যাত সাংবাদিক ম্যালকম গ্লাডওয়েল তার ‘আউটলায়ার্স’ গ্রন্থে। সফল মানুষদের সাফল্যের কাহিনী নিয়ে লেখা গ্রন্থটি বিশ্বের অন্যতম বেস্ট সেলার। ম্যালকম লিখেছেন, ‘মানুষের সাফল্যের জন্য প্রয়োজন হয় সুযোগের। সুযোগ সৃষ্টি করা গেলে মানুষই তা কাজে লাগিয়ে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে যেতে পারে।’

বিল গেটসের সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরতে গিয়ে তিনি গ্রন্থটিতে লিখেছেন, ‘গেটস যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল প্রদেশের লেকসাইড নামক স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই প্রোগ্রামিং শেখার সুযোগ পান। স্কুলের শিক্ষার্থীদের মায়েরা মিলে চাঁদা তুলে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ওই স্কুলে একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করে দেন। কিছুদিন পর স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোগ্রামিং, কোডিং শেখার সুযোগ করে দেয়। বিল গেটসসহ অন্য শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ গ্রহণ করেন। সেই থেকে বিল গেটসকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।’ আমরা সবাই জানি যে, বিল গেটস বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং শীর্ষ ধনকুবের। সবাই যে বিল গেটসের মতো হবে তা বলছি না, কিন্তু স্কুলেই শিক্ষার্থীদের গণিত, প্রোগ্রামিং, কোডিং শেখার সুযোগ করে দেওয়া হলে প্রযুক্তিসংশ্নিষ্ট শিক্ষার ভিত তৈরি হয়। গেটস তার প্রকৃষ্টতম উদাহরণ। বাংলাদেশের তরুণ, উদ্যমী জনসংখ্যা দেশের জন্য বিশাল সম্পদ। তবে এ সম্পদ তখনই কাজে লাগবে, যদি তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং মানসিকতা অর্জন করতে পারে। এজন্য নীতিনির্ধারক, শিক্ষক এবং শিল্পনেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে, যাতে উচ্চশিক্ষা এমনভাবে গড়ে ওঠে যেখানে ইন-পারসন ও ডিজিটাল শিক্ষার সেরা দিকগুলোর সমন্বয় থাকবে, উদ্যোক্তামূলক মানসিকতা গড়ে উঠবে এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ থাকবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে পারবে না, বরং বৈশ্বিক জ্ঞান-অর্থনীতিতেও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক।   

আজকালের খবর/আরইউ








http://ajkalerkhobor.net/ad/1751440178.gif
সর্বশেষ সংবাদ
শেখ হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক, তাকে ক্ষমা নয়: ফখরুল
ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান আর নেই
অসৎ উদ্দেশ্যে কারাগারে আমার ভয়েস রেকর্ড করা হয়েছে : ইনু
রাজধানীতে বাসে আগুন দেয়ার চেষ্টাকালে ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করার প্রত্যাশা আলী রীয়াজের
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
চরম জনবল সংকটে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিঘ্নিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্মাননায় স্বর্ণপদক পেলেন অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস
ভুল সিদ্ধান্তে যেন ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ না পায় : তারেক রহমান
সালাহউদ্দিনকে নিয়ে কটুক্তি করায় কক্সবাজারে বিএনপির তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ
মানবাধিকার মিশন চালু জবাবদিহির প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন: প্রেস উইং
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft